স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা:  শনিবাসরীয় দুপুরে ফের চমক ঘাসফুল শিবিরের৷ এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন একঝাঁক টিভি তারকা। তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন ও তৃণমূল নেতা তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী এই টেলিভিশন তারকাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। এই তারকাদের মধ্যে রয়েছেন রণিতা, সৌপ্তিক চক্রবর্তী, শ্রীতমা ভট্টাচার্য ও দিশা রায়চৌধুরী।

‘ধন্যি মেয়ে’, ‘ইষ্টি কুটুম’ ধারাবাহিকের অভিনয়ের সৌজন্যে রণিতা দাস মন জয় করেছেন সিরিয়াল প্রিয় বাঙালির।  বাহা ধারাবাহিকে অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন রণিতা। এদিন রণিতা বলেন, আমরা গত ১০ বছর ধরে দিদির সঙ্গেই আছি। দিদিকে আমরা খুব ভালোবাসি। আজ থেকে আমরা তৃণমূলের সদস্য ও বাড়ির লোক হলাম। সমস্ত কাজ যা যা দায়িত্ব দেওয়া হবে তা পালনের চেষ্টা করব এবং আমরা চাই নতুন প্রজন্মও বিষয়টা বুঝুক। অন্য নেতারা আগে থেকে প্ল্যান করে বিভিন্ন জায়গায় যান, খাওয়া দাওয়া করেন। দিদি মাটির মানুষ। গাড়িতে যেতে যেতে যে কোনও চায়ের দোকানে নেমে পড়েন তিনি।

অন্যদিকে শ্রীতমাকে মানুষ মা ধারাবাহিকের ঝিলিক হিসেবেই চেনেন। সৌপ্তিক জলনুপূর ধারাবাহিকে অভিনয় করে মানুষের কাছে পরিচিত। শ্রীতমা তৃণমূলের পতাকা তুলে নেওয়ার পরে বলেন, দিদির সাহায্য পেয়েছি। এই দলের অনেকের কাছ থেকে অনেক সাহায্য় পেয়েছি। তবে আমার যোগ দেওয়ার একটা হল, আমার বাবা সমাজকর্মী ছিলেন। তাঁর বড় স্বপ্ন ছিল আমি দলের সঙ্গে থেকে কাজ করি। মানুষের সেবা করা মুখের কথা নয়। আমি চেষ্টা করব কারণ আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।

‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য’ ও ‘জয়বাবা লোকনাথ’ ধারাবাহিকের অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ দিশা রায়চৌধুরী এবং সৌপ্তিক চক্রবর্তী। লোকনাথ বাবার চরিত্র ছাড়াও ‘জল নূপুর’ সিরিয়ালে সৌপ্তিকের অভিনয় দর্শকের ভালোবাসা জিতে নেন। এদিন অভিনেত্রী দিশা রায়চৌধুরী বলছেন, দিদি সবার পাশে আছেন। করোনা পরিস্থিতিতে উনি যে ভাবে পথে নেমে মানুষের পাশে থেকেছে তা আমায় নাড়া দিয়েছে। আমফানের সময়েও ওনাকে দেখেছি। অনেকে অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু দিদি সাধারণ মানুষের কথা ভেবেছেন।

টেলি অভিনেতাদের যোগ দেওয়ার আগে দোলা সেন বলেন, আমি সিরিয়ালের ভক্ত। মাঝরাতে জেগে দেখি। অভিনেতা হিসেবে ওরা যেমন মন জয় করেছেন তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবেও এরা মন জয় করবেন।

শুক্রবারই ঘাসফুলের পতাকা হাতে নেন প্রবীণ অভিনেতা দীপঙ্কর দে, ভরত কল এবং লাভলি মৈত্র। তৃণমূলে যোগ দেন সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রাশিদ খানের কন্যা শাওনা খানও। তৃণমূল ভবনে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর হাত থেকে দলীয় পতাকা নেন তাঁরা।

মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ‘দায়বদ্ধতা ও কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করে দীপঙ্কর দে বলেন, ‘‘উনি আমাকে বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ দু’টি সম্মানে সম্মানিত করেছিলেন। এটা আমার জীবনে বড় ব্যাপার। আমি যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, তখন উনি দু’বার অরূপ বিশ্বাসকে আমার খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন। আমার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করেছে। অতএব আমি বেইমানি করতে পারব না। তৃণমূলের সঙ্গেই থাকব।’’ রুদ্রনীলের দল ছাড়ার প্রসঙ্গে প্রবীণ অভিনেতার বক্তব্য, “কার কোথায় গিয়ে পাঁপড় ভাজতে ইচ্ছে করে, সেটা তো আমাদের দায় নয়। গেছে পাঁপড় ভাজতে। ভাজুক।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।