কলকাতা: একসময় ঘন-ঘন কোচ বদলের বদভ্যাস ছিল মহামেডান স্পোর্টিং’য়ের। এবার কী সেই রীতির ছোঁয়া লাগল সচিব পদেও। চলতি মরশুমে দ্বিতীয়বার সচিব পদে বদল এনে অন্তত তেমনই বার্তা দিল সাদা-কালো শিবির। মরশুম শুরুর আগে ঘটা করে তরুণ ওয়াসিম আক্রাম সচিব পদে বহাল হয়েছিলেন মহামেডানের। কিন্তু আইলিগের মাঝপথে সরিয়ে দেওয়া হল আক্রামকে। তাঁর পরিবর্তে সাদা-কালোর নয়া সভাপতি হলেন দানিশ ইকবাল।

গত একবছর ধরে ক্লাবের ইয়ুথ ডেভলপমেন্টের দায়িত্ব ছিল ইকবালের হাতে। ক্লাবের অন্যতম কর্তা মঞ্জর ইকবালের পুত্র দানিশ। সচিব ছাড়া বদল এল সভাপতি পদেও। সাদা-কালোর নয়া সভাপতি হলেন গুলাম আশরাফ। কিন্তু গুলাম আশরাফকে সভাপতি পদে আসীন করা নিয়ে কিছুটা বিতর্কও দানা বেঁধেছে। কারণ কার্যকারী সমিতির কোনও পদে এতদিন ছিলেন না আশরাফ। সবচেয়ে মজার ব্যাপার খোঁজ নিয়ে জানা গেল মহামেডান ক্লাবের সদস্য হিসেবেও নথিভুক্ত নন। শোনা যাচ্ছে সদ্য প্রাক্তন হওয়া সভাপতি আমিরুদ্দিন ববির ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদেই সভাপতি পদে আসীন হয়েছেন আশরাফ। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।

এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল মরশুমে শুরুর আগে ঘটা করে ওয়াসিম আক্রামকে সচিব পদে বসানো হলেও কেন মরশুমের মাঝপথে বদল করা হল তাঁকে? শোনা যাচ্ছে, সচিবের কাজ নিয়ে ক্রমেই অসন্তোষ বাড়ছিল ক্লাবের অন্দরমহলে। ক্লাবের কিছু কর্তার কথায়, ওয়াসিম আক্রাম স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এমন কিছু মন্তব্য করছেন যা একেবারেই ভিত্তিহীন। প্রাক্তন সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি যেমন বলছেন, আক্রামের কাজে কার্যকরী সমিতি মোটেই সন্তুষ্ট ছিল না। আর সামনে বিধানসভা নির্বাচনের কারণে কলকাতা পুরসভার বরো চেয়ারম্যান আমিরুদ্দিন ববি নিজে সভাপতি পদ ছেড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

এই দু’টি পদ ছাড়া বদল এক সাদা-কালোর মাঠ সচিব এবং কোষাধ্যক্ষ পদেও। মাঠ সচিবের দায়িত্বে গজল জাফরের পরিবর্তে এলেন ফারহান আহমেদ। আর শাহিদ রশিদকে সরিয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে আসীন হলেন মহম্মদ আক্রম। চলতি আইলিগে প্রথম পাঁচ ম্যাচে এখনও অপরাজিত মহামেডান স্পোর্টিং। কিন্তু জয় এসেছে মাত্র একটি ম্যাচে, বাকি চার ম্যাচ ডঃ আর সেকারণেই লিগ টেবিলে ছ’নম্বরে রয়েছে সাদা-কালো শিবির। পাঁচ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭। শীর্ষে থাকা চার্চিল ব্রাদার্সের সংগ্রহ ছ’ম্যাচে ১২ পয়েন্ট।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।