বিজেপি-সিপিএম গোপন আঁতাতের জের, নির্বাচনের আগেই বড় ভাঙনের মুখে গেরুয়া শিবির

কেরলে ভোট শতাংশের নিরিখে কেরলে বিজেপি ভদ্রস্থ অবস্থানে থাকলেও বিধানসভা নির্বাচনে কটি আসন দখলে আনতে পারবে তারা? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই কেরলে একাধিক আত্মসমীক্ষা করেছে বিজেপি। আসন্ন স্থানীয় নির্বাচনে ৩৫ শতাংশ ভোট শতাংশও বাড়িয়েছে বিজেপি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে ক্রমেই রাজ্যে নিজেদের উপস্থিতির জানান দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে এর নেপথ্যে অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কেরলে বিজেপির শরিক ভারত ধর্ম জন সেনা।

ভেঙে গেল জোট?

তবে সেই ভারত ধর্ম জন সেনাই এবার বিজেপির সঙ্গ ছাড়ছে। অভিযোগ, কেরলে বাম জোটের সঙ্গে গোপন আঁতাত রয়েছে বিজেপির। ইতিমধ্যেই বিডেজেএস-এর একটা অংশের নেতৃত্ব বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার ঘোষণা করে দিয়েছে। যদিও দলের রাজ্য সভাপতি থুসার ভেল্লাপল্লি দাবি করেছেন, দল এখনও বিজেপির সঙ্গেই আছে।

বিজেপি নিজেদের জমি আরও শক্ত করার দিকে নজর দেবে

অনেক রাজনৈতির বিশেষজ্ঞরই মত, কেরলে এবার বিজেপি নিজেদের জমি আরও শক্ত করার দিকে নজর দেবে। কংগ্রেসকে সরিয়ে বিজেপি সেরাজ্যের মূল বিরোধী শক্তি হতে চাইছে। এবং কংগ্রেসকে দুর্বল করতে সিপিএম-ও চাইবে যাতে বিজেপি শক্তিশালী হয়। এর জেরে বাম জোটের সরকার পুরোপুরি নিরাপদ থেকে যাবে।

বাম ও বিজেপির এই সম্ভাব্য বোঝাপড়া

এদিকে বাম ও বিজেপির এই সম্ভাব্য বোঝাপড়া নিয়েই আপত্তি ভারতীয় ধর্ম জন সেনার। এর জেরে দল ভেঙে ভারতীয় জন সেনা নামক আলাদা দল তৈরির ঘোষণা করেন ভি গোপাকুমার এবং এনকে নীলাকান্দন। তাঁদের অভিযোগ, সবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশাধিকারের পক্ষে সওয়াল করে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে কেরলের বাম সরকার।

ফোকাসে সবরীমালা

মূলত এই সবরীমালাকে ঘিরেই একটি আন্দোলন গড়ে তোলে বিজেডিএস এবং বিজেপি। এর জেরেই ক্রমে সেরাজ্যে শক্তি বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। এই ইস্যুতে বিক্ষুব্ধ নেতা গোপাকুমার বলেন, 'হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা পুলিশি হামলার সম্মুখীন হয়েছে সবরীমালাতে। এদের মধ্য বহু বিজেডিএস কর্মীও ছিলেন। তবে এখন কংগ্রেস মুক্ত কেরল দেখতে চেয়ে বিজেপি চাইছে যে সিপিএম সরকারেই থাকুক।'

বিজেপির এই ষড়যন্ত্র কেরলের হিন্দুরা মানতে পারছে না

বিক্ষুব্ধ নেতা গোপাকুমারের অভিযোগ, 'ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা কখনই এটা সহ্য করতে পারবে না যে কেরলে বামপন্থীরা ফের ক্ষমতায় আসুক। বিজেপির এই ষড়যন্ত্র কেরলের হিন্দুরা মানতে পারছে না।' এদিকে নীলাকান্দনের দাবি, আসন্ন নির্বাচনে কোনও শর্ত ছাড়াই কংগ্রেসকে সমর্থন জানাবেন তাঁরা। এটা এখন কংগ্রেসের উপরই নির্ভর করবে যে কীভাবে তাদের জোটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

More KERALA ASSEMBLY ELECTION 2021 News