চেন্নাই: জো রুট ও তাঁর ১২৪ রানের পার্টনারশিপ চেন্নাই টেস্টে ইংল্যান্ডকে রানের পাহাড়ে পৌঁছে দিয়েছেন৷ চিপকে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে ২১৮ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলেন রুট৷ সেই সঙ্গে কেরিয়ারের শততম টেস্টে সর্বাধিক স্কোর করে ইতিহাস গড়লেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক৷
অধিনায়ক রুটের ২১৮, ডম সিবলের ৮৭ এবং বেন স্টোকসের ৮২ রানে ভর করে শনিবার চিপকে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৮ উইকেটে ৫৫৫ রান তুলেছে ইংল্যান্ড৷ শ্রীলঙ্কা সফরে যেখানে শেষ করেছিলেন, ভারতের বিরুদ্ধে সেখানেই শুরু করেন রুট৷ বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে কেরিয়ারের শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করে নজির গড়েন ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন৷ তবে এটি তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের পঞ্চম দ্বিশতরান৷
টানা তিনটি টেস্টে সেঞ্চুরি এল রুটের ব্যাট থেকে৷ যার মধ্যে দু’টি ডাবল সেঞ্চুরি৷ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২২৮ ও ১৮৬ রানের ইনিংস খেলার পর ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২১৮ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলেন৷ লঙ্কার পর ভারতীয় স্পিনারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন রুট৷ এদিন ক্যাপ্টেনের ডাবল সেঞ্চুরির পর রুটকে স্পিনের বিরুদ্ধে সেরা ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান বলছেন স্টোকস৷
দ্বিতীয় দিনের শেষে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে ইংরেজ অল-রাউন্ডার বলেন, ‘ও সহজ ব্যাটিং করে আমাদেরকে বোকা বানিয়েছে৷ ও যেভাবে এগিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করল, তাতে আমি অবাক হয়েছি৷ স্বপ্নের ফর্মে রয়েছে ও৷ এটাই ওকে সহজ করে দিয়েছে৷ যেভাবে ও স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলছিল, তা না-দেখলে বিশ্বাস করা যায় না৷ আমি কোনও ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানকে স্পিনারের বিরুদ্ধে এভাবে খেলতে দেখিনি৷
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও চিপকে ভারতীয় বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন রুট৷ শুক্রবার টেস্টের প্রথম দিনই কেরিয়ারের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে নজির গড়েছিলেন ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন৷ ব্যক্তিগত ১২৮ রানে এদিন শুরু করে প্রথমে দেড়শো রানের মাইলস্টোন টপকান রুট৷ সেই সঙ্গে ক্যাপ্টেন হিসেবে টানা তিনটি টেস্টে দেড়শো রানের গণ্ডি টপকে স্যর ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানকে ছুঁয়ে ফেলেন তিনি৷ তারপর ডাবল সেঞ্চুরি করে ইনজামাম উল হককে টপকে যান৷ ১৯টি বাউন্ডারি ও দু’টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৪১ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেন রুট৷ এটি তাঁর টেস্ট কেরিয়ারে পঞ্চম দ্বিশতরান৷ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টেও রুটের ব্যাট থেকে এসেছিল ডাবল সেঞ্চুরি৷ আর ৮২ রানের ইনিংস খেলেন স্টোকস৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.