নিউইয়র্ক : মাঝে মাঝেই নাসা তাদের স্যাটেলাইট নানারকম ছবি তুলে সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করে। প্রত্যেকবারই তা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এবার তারা এমন একটি ছবি প্রকাশ করেছে যা সত্যিকারের রঙিন বলা যেতে পারে। কিংবা রঙবেরঙের বললেও ভুল হবে না। ছবি দেখলে বিখ্যাত গানের দু’কলি মনে আসতে বাধ্য। লাল, নীল, সবুজের মেলা বসেছে। প্রকাশিত ছবি যথারীতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

এখন প্রশ্ন হল কী এমন ছবি তুলে প্রকাশ করেছে নাসা? তারা তাঁদের সোশ্যাল মাধ্যমে জানিয়েছে, এটি অ্যান্টি অ্যাটলাস পর্বতের একটি রঙিন। এই ছবি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তুলে ইন্সটাগ্রামে প্রকাশ করেছে তারা। জানা গিয়েছে এই অ্যান্টি অ্যাটলাস পর্বতমালা তৈরি হয়েছিল ৮০ মিলিয়ন বছর আগে। আফ্রিকা ও ইউরেশিয়ান প্লেটের ধাক্কায় এই পর্বতমালার সৃষ্টি হয় , যার অবস্থান মরক্কোয়। ছবিটি ইনফ্রেয়ার্ড মোডে তোলা হয়েছে যার জন্য এটি ব্যাপকভাবে রঙিন লাগছে।

কেন এই মোডে তোলা হল ছবিটি? নাসা জানিয়েছে, ‘অরবাইটিং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ছবিটি তোলা হয়েছে। এটি দক্ষিণ পশ্চিম মরোক্কোর ছবি। আরও স্পষ্ট ভাবে বললে বলা যায় এটি অ্যান্টি অ্যাটলাস পর্বতমালা। ৮০ মিলিয়ন বছর আগে আফ্রিকা ও ইউরেশিয়ান প্লেটের ধাক্কায় যা তৈরি হয়েছিল। ইনফ্রেয়ার্ড মোডে এই ছবিটি তোলার কারন এই অংশের স্যান্ড স্টোন, ক্লে স্টোন, জিপসাম রয়েছে, তা চিহ্নিত করার জন্যই এই ছবি তোলা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, দুই টেকটনিক প্লেটের ধাক্কায় ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছিল পৃথিবীর এই অংশে। ফলে এখানে টেথিস সাগর ছিল তা সম্পূর্ণ হারিয়ে যায়। তৈরি হয় পর্বতমালা’।

নাসার পুরো অর্থ, ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার সদর দফতর ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত। পূর্বতন নাকা (ন্যাশনাল অ্যাডভাজরি কমিটি ফর অ্যারোনটিক্স) অবলুপ্ত হয়ে ১৯৫৮ সালের ২৯ জুলাই ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাক্ট অনুসারে নাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্কিন মহাকাশ যাত্রায় এই প্রতিষ্ঠানে ভূমিকা অ্যাপোলো চন্দ্রযাত্রা, স্কাইল্যাব মহাকাশ স্টেশন ও স্পেস শাটল প্রভৃতিতে লক্ষ্য করা যায়। নাসা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রকল্পের সাথে যুক্ত ৫টি সংস্থার একটি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।