নয়াদিল্লি : স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে দেশ জুড়ে। তেসরা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৪৪.৪৯ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন পেয়েছেন। ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও তেমনভাবে দেখা যায়নি। এবার তাই ৫০ বছর বয়েসের ওপরের মানুষকে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন, সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে খুব দ্রুত। বৃহস্পতিবার এমনই জানিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, ৫০ বছরের বেশি বয়েসীদের ভ্যাকসিন পাবেন। পাশাপাশি, ভ্যাকসিন পাবেন সেইসব ব্যক্তিরা, যাঁদের বয়স ৫০ বছরের নীচে হলেও একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত। প্রায়রিটি গ্রুপ ভাগ করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব।
১৮ দিনের গোটা দেশে মোট স্বাস্থ্যকর্মীর ৪৫ শতাংশকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এক রিপোর্ট প্রকাশ করে এমনই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তেসরা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৩.৯ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতই প্রথম দেশ, যা মাস ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রে ভারতকে প্রথম সারির দেশ হিসেবে প্রমাণ করেছে। কারণ ইতিমধ্যেই প্রথম দেশ হিসেবে ভারত ৪০ লক্ষের ঘর ছাড়িয়ে গিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ও লাক্ষাদ্বীপে ভ্যাকসিনেশনের হার সবথেকে বেশি। যথাক্রমে ৬৯ শতাংশ, ৫১ শতাংশ, ৬৪.৭ শতাংশ, ৯০ শতাংশ। তবে দিল্লি, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও মণিপুরে ভ্যাকসিনেশনের হার বেশ কম। জানুয়ারির ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ।
এদিকে, ১৭টি দেশের করোনা মোকাবিলায় ভারত যে ভূমিকা নিয়েছে, তার প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এসবের পিছনে ভ্যাকসিন নিয়ে যে কূটনৈতিক চাল রয়েছে, তাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে ভ্যাকসিন কূটনীতির এই খেলায় সাফল্য পেয়েছে ভারত। ১৭টি দেশে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ৫৬ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন।
নেপাল, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার মতো ভারতের বন্ধু দেশগুলিতো বটেই এমনকি মায়ানমার, সেশেলস, আফগানিস্তানেও বিশেষ বিমানে করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে ভারত ছাড়পত্র দেওয়ার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারত থেকে টিকা কিনছে। ইতিমধ্যেই ভূটান, নেপাল, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ ও ব্রাজিলে ভারত থেকে করোনার ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.