নয়াদিল্লি: গ্রেটা থুনবার্গের বিরুদ্ধে দিল্লিতে দায়ের হল এফআইআর। কৃষকের প্রতিবাদ নিয়ে গ্রেটার বিতর্কিত “টুলকিট” টুইটের পর বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত এই পরিবেশবিদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ, বিদেশী “ষড়যন্ত্র” এবং “একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বাড়ানোর” চেষ্টা সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশের বক্তব্য এফআইআরে গ্রেটার নাম উল্লেখ করা হয়নি। শুধু উল্লেখ করা হয়েছে “টুলকিট ক্রিয়েটর”।
গত ২ দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ভারতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে সমর্থনের কথা জানিয়ে আসছেন গ্রেটা। কৃষি আইনের বিরোধিতা করে যে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন দিল্লির কৃষকরা তাদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। কৃষকদের সমর্থনে এখনও পর্যন্ত তিনটি টুইট করেছেন গ্রেটা। প্রথমটিতে সরাসরি কৃষকদের প্রতি সমর্থনের কথা প্রকাশ করেন গ্রেটা। পরেরটিতে তিনি আপডেটেট টুলকিট বা গুগল ডকুমেন্ট জুড়ে দেন। এই টুইকিট সংক্রান্ত টুইট শেয়ারের পরই গ্রেটার বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। তবে এফআইআর দায়েরের পরও পিছিয়ে আসেননি গ্রেটা। পালটা টুইট করে তিনি জানিয়ে দেন ভারতের কৃষকদের পাশেই রয়েছেন তিনি। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন করেন। হুমকি নিয়ে তাঁর কিছু এসে যায় না।
Here’s an updated toolkit by people on the ground in India if you want to help. (They removed their previous document as it was outdated.)#StandWithFarmers #FarmersProtesthttps://t.co/ZGEcMwHUNL
— Greta Thunberg (@GretaThunberg) February 3, 2021
I still #StandWithFarmers and support their peaceful protest.
No amount of hate, threats or violations of human rights will ever change that. #FarmersProtest— Greta Thunberg (@GretaThunberg) February 4, 2021
পুলিশের স্পেশাল কমিশনার প্রবীণ রঞ্জন জানিয়েছেন, এই টুলকিটের মাধ্যমে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা ছড়ানো এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে দলগুলোর মধ্যে ভাঙনের চেষ্টার জন্য মামলা দায়ের হয়েছে।
শুধু গ্রেটা থুনবার্গ নয়, কৃষকদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে রিহানা সম্প্রতি টুইট করেছেন। নিজের টুইটে রিহানা লিখেছিলেন, “আমরা এনিয়ে কেন কথা বলছি না?” এই টুইটেরই উত্তর দেন কঙ্গনা। লেখেন, “কেউ এনিয়ে কথা বলছে না। কারণ ওরা কৃষক নয়, ওরা সন্ত্রাসবাদী। ওরা ভারতকে ভাগ করতে চাইছে। যাতে চিন আমাদের খণ্ডিত হয়ে যাওয়া দেশের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে ও চাইনিজ কলোনি স্থানপন করতে পারে, যেমনটা আমেরিকা করেছে। তুমি বোকা, চুপচাপ বস। আমরা তোমাদের মতো আমাদের দেশ বিক্রি করব না।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.