নবদ্বীপ: নদিয়ার নবদ্বীপে বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে পুলিশ তৎপরতা। রথযাত্রা কর্মসূচি সম্পর্কে বিজেপির থেকে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠাল নদিয়া জেলা পুলিশ। শনিবার নবদ্বীপ থেকে বিজেপির রথযাত্রা শুরু। ওই দিন এলাকার কোন কোন পথ দিয়ে রথযাত্রা নিয়ে যাওয়া হবে, কোথা থেকে কর্মী-সমর্থকরা এসে কোথায় জমাতে করবেন, সেব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
একুশের ভোট প্রেস্টিজ ফাইট। বাংলা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। বিধানসভা নির্বাচনের আগে জনসংযোগ আরও বাড়াতে এবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রথযাত্রা বের করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। রথযাত্রার সূচনা করতে রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রথযাত্রা বের করবে বিজেপি। ভোটের আগে মানুষের আরও কাছে পৌঁছে যাওয়াই লক্ষ্য। রথযাত্রা যাতে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে যায় সেই মতোই রুট তৈরি করেছে গেরুয়া শিবির।
নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে রথযাত্রার সূচনা। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেব্যাপারে আগেভাগে তৎপর নদিয়া জেলা পুলিশ। নবদ্বীপের কোন কোন পথ ধরে রথযাত্রা হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের কাছ থেকে।
করোনার সংক্রমণ এড়াতে রথযাত্রা কর্মসূচিতে সব ধরনের কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতে আবেদন করেছে পুলিশ। বিজেপি নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়ে এব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে। বিজেপির তরফে সেই চিঠির উত্তর পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার থেকে উত্তরবঙ্গ জোনের রথযাত্রার সূচনা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তরবঙ্গ জোনের রথযাত্রার সূচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি কলকাতা জোনের রথযাত্রার সূচনা হবে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির আশ্রম থেকে।
ওই রথযাত্রা ডায়মন্ড হারবারের শিরাকোল হয়ে রওনা দেবে। এই শিরাকোলেই কয়েক মাস আগে দলের সভায় এসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিকে, বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই বিজেপির রথযাত্রা বন্ধের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.