সেই বুদ্ধই ভরসা
বাম জমানার শেষ শাসক ছিলেন তিিন। এখন পাম অ্যাভিনিউয়ের আবাসনে অন্ধকার ঘরে বই আর লেখালেখিই ভরসা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। কয়েকদিন আগেই প্রবল অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসদের চেষ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন তিনি। বাড়িতেই রয়েছেন প্রবল নিয়মে। চোখের দৃষ্টিও তেমন স্পষ্ট নেই। তারসঙ্গে সিওপিডি সমস্যা তো রয়েইছে। কবে রাজনীতি খবর এখনও নেন তিনি। ইতিমধ্যে লিখে ফেলেছেন বেশ কয়েকটি বই। আবারও একটা ভোট এগিয়ে আসছে। এবার কী ভোট দিতে যাবেন তিনি? এই নিয়ে জল্পনা রয়েছে। এদিকে আবার বাম শিবির ফের সেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেই একুশের ভোটে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চাইছে।
ব্রিডেগে চমক
প্রচারে ময়দানে এখনও তেমন সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেননি বামেরা। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আসন রফা হয়েছে ঠিকই কিন্তু প্রচার তেমন ভাবে হচ্ছে। মােঝ মধ্যে সেলিম, সুজনরা বেরোচ্ছেন ঠিকই কিন্তু তাকে সেভাবে ভোটের প্রচার বলা যাচ্ছে না। তার চেয়ে ঢের বেশি মিটিং মিছিল করছে কংগ্রেস। আর দেরি করলে অনেকটাই দেরি হয়ে যাবে আঁচ করতে পেেরছে আলিমুদ্দিনও সেকারণেই ব্রিগেডকে সামনে রেখে পরিকল্পনায় শান দিতে শুরু করেছেন বিমান- সূর্যরা। ব্রিডেগে বড় চমক আনতে চান তাঁরা। কী সেই চমক? মনে করা হচ্ছে বাম জমানার শেষ মুখ্যমন্ত্রীকে ফের ব্রিডেগে সক্রিয় করতে চান তাঁরা। কীভাবে এই অসম্ভব সম্ভব হবে তার জোর পরিকল্পনা চলছে আলিমুদ্দিনে।
ভার্চুয়াল বার্তা
বুদ্ধবাবুর যা শরীরে অবস্থা তাতে তাঁকে ব্রিডেগে নিয়ে আসা কঠিন। শেষবার চিকিৎসকদের অনুমতি নিয়ে ব্রিগেডে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু মঞ্চে ওঠেননি। তাতেই যা উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বুদ্ধবাবুরে সেই ক্যারিশ্মাকে কাজে লাগাতেই ব্রিডেগে তাঁকে আনতে চাইছে আলিমুদ্দিন। তবে সশরীরে হয়তো তাঁকে আনা যাবে না। ভার্চুয়াল কিছুর আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন বাম নেতারা। ভিডিও বার্তা না হলে অডিও বার্তা দুটি দিকই ভাবতে শুরু করেছেন তাঁরা।
গেরুয়া ঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুতি বাম শিবিরে
এদিকে বিজেপিকে রুখতে সংখ্যালঘু ভোটকে পকেটে পুরতে চাইছে বামেরা। গতকালই আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোটের কথা হয়েছে। তাতে অনেকটাই কাজ হয়েছে। আব্বাস হাত মেলাতে রাজি হয়েছে। এখন সোনিয়া গান্ধীর অনুমোদনের অপেক্ষা করছে কংগ্রেস। আব্বাস বাম-কংগ্রেস জোটের কাছে ৪০টি আসন দাবি করেছে। আপাতত তাঁকে ২০টি আসন দিয়েই তুষ্ট করতে চাইছে আলিমুদ্দিন। বাকিটা কংগ্রেসের হাতে।