সচিনের টুইটের জন্য শারাপোভার কাছে ক্ষমা চাইছেন নেটিজেনরা!

ভারতে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে রিহানাদের টুইট নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ ভারতের কথা বলে প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে সরব হয়ে সচিন, বিরাট, রোহিত, রবি শাস্ত্রী-সহ ভারতীয় দলের অনেকে, এমনকী বিভিন্ন জগতের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিই টুইট করেন। তাঁদের সকলের বক্তব্য, দেশের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপোস নয়। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগত শক্তির উস্কানি বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু সেই বিষয়ে যে মারিয়া শারাপোভার টুইটার, ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঝড় আছড়ে পড়বে, তা কে জানতো? তাও আবার রীতিমতো ক্ষমা প্রার্থনা করে মালয়ালি ভাষায়।

কৃযক আন্দোলন নিয়ে সচিনের দৃষ্টিভঙ্গিকে ভালো চোখে নেননি তাঁর অনেক ভক্তও। কিন্তু শারাপোভা-যোগ কেন? এ জন্য ফিরে যেত্ হবে বছর ছয়েক আগে। ২০১৫ সালে উইম্বলডন দেখতে রয়্যাল বক্সে হাজির ছিলেন ডেভিড বেকহ্যাম, সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)-রা। ম্যাচ শেষে শারাপোভাকে (Maria Sharapova) জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল সচিন আপনার ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন তা তিনি জানেন কিনা। তার উত্তরে শারাপোভার জবাব ছিল তিনি সচিনকে চেনেন না। শারাপোভার এই মন্তব্যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়াতে রাশিয়ান টেনিস সেনসেশনের কড়া সমালোচনা শুরু হয়। তবে সেবার ক্রিকেটের ভগবানের হয়ে গলা ফাটালেও এবার তাঁদের কৃতকর্মের জন্য শারাপোভার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থী ভগবানের আপন দেশের লোকেরা। শারাপোভাকে কেরলে আসার আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে।

বুধবার নিজের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছিলেন শারাপোভার। তাতেই উঠেছে কেরলের মানুষদের কমেন্টের ঝড়। দেশের অন্য প্রান্ত থেকেও অনেক সচিন-ভক্ত নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। কেউ পোস্ট করেছেন সচিনের শেষ টেস্ট খেলার টিকিট ছিঁড়ে ফেলার ছবি। কেউ লিখেছেন, শারাপোভা আপনি ঠিকই বলেছিলেন। সচিনের খেলা আমরা ভালোবাসি। কিন্তু মানুষ হিসেবে তিনি কেমন তা জানতাম না। সচিন এমন মাপের মানুষ নন যে শারাপোভার তাঁকে চিনতেই হবে। কেউ লিখেছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে সচিনের ৬ রানের জন্য দ্বিশতরান পূর্ণ করার সুযোগ না দিয়ে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে সঠিক কাজই করেছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। কারও মন্তব্য, সচিন এখন নরেন্দ্র মোদি, সংঘের হাত শক্ত করতে চাইছেন। তবে এতে অর্জুন ভারতীয় দলে সুযোগ পাবে না। এমন নানা মন্তব্য উড়ে এলেও শারাপোভাকে প্রত্যুত্তর দিতে দেখা যায়নি।

সচিনের টুইটটি রিটুইট করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। কিন্তু সচিনের এই টুইট নিয়ে যে এমন প্রতিক্রিয়াও আসতে পারে তা কেউ ভাবতেই পারেননি। বাকি কাউকেও এমন আক্রমণ করা হচ্ছে না। একজন আবার লিখেছেন, সচিনের খেলা অনেক কৃযক ভালোবাসতেন। তাঁদের প্রতি সচিন আগে সহমর্মী হলে রিহানাদের টুইট করতে হতো না।

More SACHIN TENDULKAR News