স্টাফ রিপোর্টার,বাঁকুড়া: আলু ব্যবসায় চরম ক্ষতির মধ্যে পড়ে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যবসায়ী। মৃতের নাম বংশী ঘোষ (৬৫) বাঁকুড়ার জয়পুর থানা এরাকার জরকা গ্রামের ঘটনা।
মৃতের পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বংশী বাবু দীর্ঘদিন আলু ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ও জরকা প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির অন্যতম সদস্য। সাম্প্রতিক সময়ে আলু ব্যবসায় অনেক টাকার লোকসান হয়। পাওনাদার চাষীরা বকেয়া টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। সেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঐ ব্যবসায়ী বাড়িতেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে পরিবারের তরফে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জরকা প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষেও এই দাবিকে সমর্থন জানানো হয়েছে। সমিতির কোষাধ্যক্ষ সনাতন মাইতি বলেন, তিন লক্ষ টাকার আলু কিনেছিলেন। হঠাৎ করেই দাম কমে যায়। ঐ আলু তিনি মাত্র দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন। তারপর চাষীরা আলু দাম চাইতে থাকলে তিনি মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেন।
এদিকে বুধবার কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে রাস্তার উপর আলু ফেলে পথ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর-জয়পুর রাজ্য সড়কের উপর হাঁড়িঘাটের ঘটনা।
এই বিষয়ে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের নীতিহীনতার কারণে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসলের দাম পাচ্ছেন না। নতুন আলু বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এক ধাক্কায় দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন একটা বড় অংশের কৃষিজীবি মানুষ।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অশোক কুমার ডাকুয়া বলেন, এলাকার কৃষক সমাজ ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবীতে পথ অবরোধ করেছিলেন। আমরা সেই কর্মসূচীকে পূর্ণ সমর্থণ জানিয়েছি। আমরা চাই ‘ফড়েরাজ’ বন্ধ হয়ে কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের দাম পাক। আর সেই দাবিকে রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে তাঁরা উদ্যোগী হয়েছেন বলে তিনি জানান।
যদিও রাজনৈতিক দল গুলির কৃষকদরদি এই আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঐ এলাকার চাষীদের একাংশ। স্থানীয় আলু চাষী বাপন দাস বলেন, “আলু চাষে বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে এখন আমরা সেই আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি ৪ টাকা ৩৫ পয়সা। এখন মহাজনের ঋণশোধ আর দৈনন্দিন সংসার খরচ কিভাবে চলবে? “
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.