স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ভোটের আগে পার্শ্ব-শিক্ষকদের দাবিপূরণ৷ তাঁদের দীর্ঘদিনের বেতন বৃদ্ধির (government announced an increase in the salary of para teachers) দাবি মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বাজেট বক্তৃতায় তিনি জানালেন, এবার থেকে বছরে তিন শতাংশ হারে বাড়বে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন (Mamata announces a Salary hike for Para Teachers)। একইসঙ্গে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য এককালীন অবসরকালীন ভাতারও ঘোষণা করেছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী অর্থবর্ষ থেকে ৬০ বছর পূরণ হলে অবসরকালীন ভাতা হিসেবে এককালীন তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে পার্শ্বশিক্ষকদের। অলচিকি হরফ পড়ানোর জন্য আরও ১৫০০ পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করা হবে।

দীর্ঘ দিন ধরেই বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকরা। নিজেদের দুর্দশার কথা জানিয়ে কদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজেদের রক্ত দিয়ে চিঠি লেখেন আন্দোলনকারীরা। চিঠিতে কেউ লিখেছিলেন ‘দিদি আমাদের বাঁচান’, তো কারও কাগজ লাল হয়েছে ‘ভাতা নয়, দিদি বেতন চাই’ বার্তায়। আবার কারও দাবি, ‘দিদি, বেতন কাঠামো দিন।’ ‘দিদি, আমার পরিবারকে রক্ষা করুন’ও লেখা রক্ত দিয়ে। সেইসময়ই  দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তাঁরা। সেইমতো এদিন নবান্ন অভিযান কর্মসূচী নিয়েছিলেন তাঁরা৷

রাজ্য বাজেটে শিক্ষা খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচুর স্কুল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা। এ ছাড়া রাজ্যের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য প্রচুর স্কুল তৈরির কথা বলা হয়েছে বাজেটে। তফসিলি জাতি, উপজাতি, দুঃস্থদের জন্য ১০০টি নতুন স্কুল তৈরি হবে। অলচিকি লিপিতে পড়ার জন্য ৫০০টি নতুন স্কুল তৈরি হবে। সেই সব স্কুলেও নতুন শিক্ষক ও পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই খাতে মোট বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা।

এ বছর থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়া শুরু হয়েছে। সেই প্রকল্প প্রতি বছরই চলবে বলে প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সে জন্য ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।