বিধায়ককে শিবিরে টানার চেষ্টা তৃণমূল-বিজেপি উভয় দলই
সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা। তাঁর দাবি, তৃণমূল বিজেপি উভয় দলই তাঁকে দলে টানার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কংগ্রেসের প্রতি অনুরক্ত প্রাক্তন আইএএস অফিসার সুখবিলাস সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন বলে দাবি করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে সুখবিলাস বর্মার দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি দুই দল থেকেই একাধিকবার যোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। বিভিন্ন ভাবে টোপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও বিজেপি কিংবা তৃণমূলের দেওয়া কোনও প্রলোভনেই তিনি যে পা দিতে রাজি নয় সেটা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের এই বিধায়ক।
বিরোধী দলের বিধায়ক হয়েও উন্নয়নে সফল
উন্নয়নে সফল হয়েছেন তিনি। শুধু সফল হওয়া নয়, রীতিমত তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের এই বিধায়ক। রাজ্যের যে কোনও তৃণমূলের বিধায়কের থেকে কোনও অংশে উন্নয়ন কম করেননি বলে দাবি তৃণমূল বিধায়কের। তাঁর দায়িত্ব থাকা এলাকাগুলি যথেষ্ট উন্নয়ন করেছেন বলে মনে করেন বর্ষীয়ান এই বিধায়ক। উন্নয়ন খাতে কংগ্রেসের দুই রাজ্যসভা সাংসদ অধ্যাপক প্রদীপ ভট্টাচার্য্য ও অভিষেক মনু সিংভির কাছ থেকে ১৩ কোটি টাকা নিয়ে এসে জলপাইগুড়ি বিধানসভা ক্ষেত্রের উন্নযন করা হয়েছে। ফলে দলবদলের প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য সুখবিলাস শর্মার। তাঁর মতে, কাজ না করলেই দলবদলের ভিড়ে যাওয়ার ভাবনা থাকবে। যেখানে মানুষের জন্যে কাজ করে তাঁদের পাশে রয়েছি সেখানে কেন প্রলোভনে পা দেব? মত তাঁর। একই সঙ্গে এই বিধায়কের দাবি, দল যদি তাঁকে দের এখান থেকে টিকিট দেন তাহলে ফের এই কেন্দ্র থেকেই লড়বেন বলে মত তাঁর। এবং অবশ্যই বিজেপি এবং তৃণমূলের প্রার্থীর থেকে অনেক ভোটেই জিতে আসবেন বলে মনে করেন তিনি।
ভোটের আগে দলবদলের খেলা
ভোটের আগে দলবদলের খেলা শুরু হয়েছে জোর দমে। গত কয়েকদিনে একাধিক তৃণমূল বিধায়ক এবং সাংসদ দলবদল করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। আবার পালটা বিজেপি ভাঙিয়ে তৃণমূলে একাধিক নেতাকে টেনে এনেছেন শীর্ষ নেতারা। বাংলার রাজনীতিতে যা অনেকেই বলছেন নতুন এক খেলা! যদিও বাম কিংবা কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূলের দেখানো পথেই বিজেপি। কারন গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে একাধিক কংগ্রেস কিংবা বাম বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কখনও টাকা তো কখনও নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিধায়কদের ভাঙিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। আর দল ভাঙানোর মুল কান্ডারি মুকুল রায় এখন বিজেপিতে। ফলে সেখানেই সেই রাজনীতি শুরু হয়েছে বলে দাবি বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের।
বিরোধী দল ভাঙানোর অভিযোগ ওঠে পিকের টিমের বিরুদ্ধে
ভোটের আগে দলবদলের রাজনীতি করছে তৃণমূল বিজেপি! তবে বিরোধী দল ভাঙানোর অভিযোগ রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের দলের বিরুদ্ধেও। একাধিক বাম বিধায়ককে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার তরফে। এমনকি মমতার মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পাইয়ে দেওয়া হবে বলেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বাম বিধায়কদের। যদিও প্রকাশ্যে তাঁরা এহেন প্রস্তাব খারিজ করে দেয় এবং প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন একাধিক বাম নেতা। তাতে রীতিমত ধাক্কা খায় প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। এবার সেই পথেই কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক।