বর্ধমান: একুশের ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতির পারদ চড়ছে। এবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করলেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ধমান আদালতে এই মামলা দায়ের করেছেন তিনি। একাধিক জনসভা থেকে সম্প্রতি অভিষেকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করছেন শুভেন্দু। তার জেরেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ অভিষেকের।
একুশের মঞ্চ তৈরি। কোমর-বেঁধে রাজনীতির ময়দানে শাসক-বিরোধী সব পক্ষ। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের ঘর ভাঙিয়ে বেশ চনমনে গেরুয়া শিবির। গত নভেম্বর মাসে মেদিনীপুরে অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুধু তিনি নিজেই নন, শাসকদলের হাফ-ডজন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন শুভেন্দু। এমনকী পরবর্তী সময়ে তাঁর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শুভেন্দুর আর এক ভাই তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা, এমনই বলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। একইসঙ্গে শুভেন্দু-দিব্যেন্দুদের বাবা তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীও বেসুরো গাইছেন।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে একের পর এক সভা-রোড শো-তে পুরনো দল তৃণমূলকে তুলোধনা করছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় প্রতিটি সভায় নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে কটাক্ষ করছেন শুভেন্দু।
বহু ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রসঙ্গেও অভিষেককে বিঁধে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বর্ধমান আদালতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়েরের পর তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীর একের পর এক মন্তব্যের জেরে তাঁর মক্কেলের সম্মানহানি হচ্ছে, তাই এবার আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার কথা বললেও শুভেন্দু কোনও পদক্ষেপ করেননি। ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা পরবর্তী সময়েও প্রকাশ্য সভায় অভিষেকের নাম না করে কড়া সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও শুভেন্দুকে বিঁধে একের পর এক মন্তব্য করেন। সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে শুভেন্দুর যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অভিষেক। পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিস পাঠান শুভেন্দু অধিকারী। এবার পাল্টা আইনি লড়াই অভিষেকের।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.