নয়াদিল্লি : দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে তদন্ত চলছে প্রজাতন্ত্র দিবসের বিক্ষোভের। কে বা কারা নেপথ্যে ছিল এই বিক্ষোভের তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই লালকেল্লায় বিক্ষোভের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ। অভিনেতা দীপ সিধুর ছবিও রয়েছে তার মধ্যে।
অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন ওই দিনের ঘটনার সব সিসিটিভি ফুটেজ। দেখা হচ্ছে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ, মোবাইল ফুটেজ। বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর নেওয়া চেষ্টা চলছে কৃষক বিক্ষোভের বকলমে কারা হামলা চালিয়েছিল।
তদন্তকারী আধিকারিকরা যোগাড় করেছেন বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। নাংগোই, লাল কেল্লা, মধ্য দিল্লি ও মুকারবা চকের রাস্তাগুলির ভিডিও ফুটেজ ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ চলছে বলে খবর। অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকরা সিট গঠন করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে আপাতত ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও স্পেশাল সেলের অফিসাররা কাজ করছেন। দিল্লি পুলিশের নির্ধারিত রুট দিয়ে কেন কৃষকদের মিছিল গেল না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে তাও। এই সিদ্ধান্তের পিছনে কার মদত ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।
এদিকে, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সিংঘু বর্ডারে প্রতিবাদে শামিল হয়েছে একাধিক কৃষক সংগঠন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে চাক্কা ড্যাম কর্মসূচি নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশ ও বিদেশের একাধিক সেলিব্রিটি। আন্তর্জাতিক পপস্টার রিহানা থেকে পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ তাদের সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও পিছু হটেছে সরকার। কৃষি আইন ১২ থেকে ১৮ মাসের জন্য স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে তারা। কিন্তু বিরোধী দলগুলির বক্তব্য ওই আইন পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটিতে তোলা হোক।
বৃহস্পতিবার বিরোধী দলগুলির ১২ জন সাংসদ একত্রে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে একটি চিঠি জমা দেন। চিঠিতে লোকসভায় কৃষি আইন ও কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে আলোচনার কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার NDA জোটের নয় এমন ১৫ জন সদস্যকে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেওয়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই পার্লামেন্টে এই চিঠি দেন বিরোধী সাংসদরা। এই সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.