ট্রেন্টন: বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব অবদান। মুখ ও দুটি হাত ট্রান্সপ্ল্য়ান্ট করার পর নতুন জীবন ফিরে পেলেন নিউ জার্সির এক ব্যক্তি। পৃথিবীতে এমন ট্রান্সপ্ল্যান্টের ঘটনা এই প্রথম।

নিউ জার্সির ওই ব্যক্তির নাম জো দিমেয়ো। কিছুদিন আগে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছিলেন তিনি। দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। সেদিন তিনি অফিসে নাইট শিফট সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তয় গাড়ি চালানোর সময় চোখ লেগে গিয়েছিল তাঁর। ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই ঘটে দুর্ঘটনা। তাঁর গাড়ি উলটে যায় ও আগুন ধরে যায়। ওই দুর্ঘটনায় তাঁর দেহ প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। থার্ড ডিগ্রি বার্ন। দুটি হাতও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বাঁচার আশা ছিল না। কিন্তু রাখে হরি, মারে কে। সেই অবস্থা থেকে বেঁচে ফেরেন জো দিমেয়ো। কিন্তু চেহারা হয়ে যায় বীভৎস।

রাস্তায় বের হলে তাঁর চেহারা ভয় ধরাত মানুষের মধ্যে। তাঁর আঙুলের নখ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাঁর মুখে ছিল অজস্র দাগ। ঠোঁট আর চোখের পাতা ছিল না। তাঁর দৃষ্টিশক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই সব সমস্যা নিয়ে সাধারণ জীবনযাপন তাঁর পক্ষে কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিনি প্রায় ৪ মাস ভর্তি ছিলেন। তখন তাঁকে প্রচুর টিকা দেওয়া হয়, ব্লাড ট্রান্সফিউশনও করা হয়। প্রায় আড়াই মাস তিনি কোমায় ছিলেন।

অস্ত্রোপচারের পর দিমেয়ো জানান তিনি জীবনে তিনি দ্বিতীয়বার সুযোগ পেলেন। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “প্রতিটি সুড়ঙ্গের শেষেই আলো রয়েছে। আশা ছেড়ো না।” ২০২০ সালের ১২ আগস্ট তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। সময় লাগে প্রায় ২৩ ঘণ্টা। অস্ত্রোপচারটি হয়েছিল NYU ল্যাঙ্গনে। সার্জারি টিমে ছিল ৯৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী। এই টিমের দায়িত্বে ছিলেন এডুয়ারডো রডরিগেজ। তিনি NYU ল্যাঙ্গনের ফেস ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রোগ্রামের প্রধান।

রডরিগেজ জানিয়েছেন, “সবাই স্বীকার করেছেন যে জো ছিলেন পারফেক্ট পেশেন্ট। আমার দেখা সবচেয়ে মোটিভেডেট পেশেন্ট ছিলেন তিনি।” রডরিগেজের এটি চতুর্থ ফেস ট্রান্সপ্ল্যান্টস। আর হাত ট্রান্সপ্ল্য়ান্ট তাঁর পরিচালনায় এই প্রথম। এর আগেও দুবার মুখ ও হাতের ট্রান্সপ্ল্যান্ট করানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই রোগী মারা যান। একজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল সংক্রমণ, অন্যজনের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারে সাফল্য আসেনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।