টার্গেট ৯৮ আসন
জঙ্গলমহল আর উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে রয়েছে মোট ৯৮টি আসন। এই ৯৮টি আসনই এবার কি ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে চলেছে একুশের নির্বাচন। ৯৮টি আসন জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। জঙ্গলমহলকে হাতে রাখতে অধিকারী গড় প্রায় দখল নিয়ে ফেলেছে পদ্মশিবির। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর জঙ্গলমহল একপ্রকাল হাতের মুঠোয় করে ফেলার চেষ্টায় কোনও কসুর করছে না পদ্মশিবির। উত্তরবঙ্গে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুযোগ নিতে শুরু করেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে দল বদল শুরু হয়ে গিয়েছে। গুরুং ফিরে আসায় মোর্চাদেরও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৯৮টি আগেই দখলে আনতে পারলে পদ্মশিবিরের চাপ অনেকটাই কমে যাবে।
মমতার নজরে ৯৮ আসন
বিজেপি জঙ্গলমহল আর উত্তরবঙ্গকে পাখির চোখ করছে আঁচ করেই দুই দফায় উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ফেলেছেন মমতা। একবার অভিষেককে সেখানে পাঠিয়েছেন। সূত্রের খবর মালদহ ও মুর্শিদাবাদে বিশেষ নজর দিচ্ছেন মমতা। মালদহে কয়েকদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কো-অর্ডিনেটর বেসুরো গাইতে শুরু করেছিলেন। টিম পিকে ময়দানে নেমে তাঁকে সুরে ফেরান। অন্যদিকে আবার মৌসম নূরকে নিয়েও জল্পনা রয়েছে। মুর্শিদাবাদে এখনও বিজেপি তেমন দাঁত ফোটাতে পারেনি। তাই এই দুই জেলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বেশি নজর দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।
আদিবাসী ভোট
উত্তরবঙ্গ আর জঙ্গলমহলের সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে আদিবাসী ভোট। উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের জন্য বাজেটে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদী সরকার। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে মোদী সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন একটি চা-বাগান খুলতে পারছেন কেন্দ্রীয় সরকার। আর চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য টাকা বরাদ্দ করছে। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সম্প্রদায়ের ভোটকেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেকারণেই রাজবংশীদের বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে। উত্তরবঙ্গে গণবিবাহের আয়োজন করার নেপথ্যে ছিল সেই উদ্দেশ্য।
রাজবংশী ভোটারদের বিশেষ গুরুত্ব
উত্তরবঙ্গের একটি বড় অংশের ভোটাররা রাজবংশী। ৫৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৫০টি কেন্দ্রে রাজবংশী সম্প্রদায়ের বাস। সেকারণেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে রাজবংশীদের উন্নয়নের কথা বারবার বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। রাজবংশীদের বিয়ের আসরে গিয়ে সংযোগের উদ্দেশ্যও ছিল তাই।