হাইওয়েতে বসানো ব্যারিকেড
১ নম্বর জাতীয় হাইওয়ে চার-লেনের একটি হাইওয়ে যা শুরু হয়েছে দিল্লি থেকে পাঞ্জাবের আটারি হয়ে সোনিপথ পর্যন্ত। সিংঘু গ্রামের হাজার হাজার কৃষক ২৬ নভেম্বর থেকে হাইওয়ের উভয় দিকে প্রতিবাদে অনড় রয়েছেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর প্যারেড ঘিরে ধুন্ধুমার ঘটনা ঘটায় দিল্লি পুলিশ নিজেদের ব্যারিকেড বসিয়ে দিয়েছে হাইওয়েতে। নিত্য যাত্রীদের জন্য হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের দিকে যাওয়া রাস্তা সিংঘু গ্রামের মধ্যে এক সরু লেন মারফৎ গিয়েছে। সিংঘুতে এমসিডি টোল প্লাজার আগে ট্রাফিকটি ২ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এই বিক্ষোভ শুরু হওযার মূল জায়গা। যাত্রীদের এখন নারেলা ও কেএমপি এক্সপ্রেসওযের মাধ্যমে আলিপুরে আসতে হবে বা ক্ষেতের মধ্যেকার সরু আধ-কাঁচা রাস্তা ধরে আসতে হবে।
ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে সরু–কাঁচা রাস্তা
সিংঘু সীমান্ত থেকে ২ কিমি দূরে সিংঘোলা গ্রাম পর্যন্ত কেউ হাইওয়ে দিয়ে খুব গতিতে আসতে পারবে, তবে সীমান্তের কাছে এসে সিমেন্টের ব্যারিকেড ও পুলিশের কর্মীদের দেখতে পাবে, এরপর হাইওয়ে থেকে ইউ টার্ন নিয়ে বাঁদিকে গ্রামের রাস্তা ধরে যেতে হবে। তবে সমস্য হল সরু রাস্তার দু'দিকে সর্ষে ক্ষেত, গাছ-গাছালি ও তার শিকড় এসে পড়ছে গাড়ির সাইডে এবং এই সরু রাস্তায় বিপরীতমুখী দু'টি গাড়ি একসঙ্গে যেতেও পারবে না। আর যদি বৃষ্টি হয়, তবে রাস্তার ফুটো ফাটা জলে ভরে যায় এবং এই রুটটা একেবারে যানজটে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিকল্প রাস্তা নেই।
সরু পর শুরু হয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল রাস্তা
এক টেম্পো চলাক, যিনি নিয়মিতভাবে গাজিয়াবাদ থেকে কুন্ডলি পণ্য সরবরাহ করেন, তিনি জানান, এখন তাঁর নিত্য যাত্রার সময় তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। ওই চালক বলেন, ‘কৃষক প্রতিবাদের আগে কুন্ডলি পৌঁছাতে একঘণ্টা সময় লাগত। কিন্তু এখন তা ২-৩ ঘণ্টা লাগে। সরু রাস্তার ওপর দিয়ে গাড়ি চালাতে বহু সময় লেগে যায়।' ক্ষেতের পর সিংঘু গ্রামের ভেতর দিয়ে যে রাস্তাটি গিয়েছে, সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে যানজটের বোঝা বাড়ায় তাঁর অসুরক্ষিত অনুভব করছেন। সিংঘু গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘হাইওয়ে বন্ধ থাকার দরুণ এই রাস্তা দিয়ে যেতে দীর্ঘক্ষণ সময় লেগে যায় এবং গাড়িগুলি গেটের সামনে এসে পড়ে। আমাদের শিশুরা বাইরে যেতে পারে না'। গ্রামের সরু রাস্তার পর আসে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা। রাস্তার পেছনের দিক পুরো পার্ক করা পণ্য ও কন্টেনারের ট্রাকে, যা হাইওয়ের একটি অংশে পরিণত হয়েছে। হরিয়ানার দিকের সীমান্ত সংলগ্ন কুণ্ডলির বহু কারখানার সুরক্ষা কর্মী মুকেশ বলেন, ‘হাইওয়ে যখন খোলা ছিল আমরা প্রধান রাস্তা ব্যবহার করতাম। এটা রাস্তার পেছনের দিক, যেখানে ট্রাক পার্ক করে রাখা হয়। কিন্তু এখন এটা প্রধান রাস্তা হিসাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে।'
কেএমপির মসৃণ রাস্তায় আসতে দীর্ঘ সময়
হাইওয়ের পেছনের চড়াই-উৎরাই রাস্তা পেরিয়ে ২ কিমি পর অবশেষে কুন্ডলির মসৃণ রাস্তায় এসে পড়লেই তা হাইওয়ের সঙ্গে সমান্তরালভাবে চলে গিয়েছে। সেখান থেকে, কেএমপি এক্সপ্রেসওয়ের সোজা এবং বেশ মসৃণ রাস্তা।