কলকাতা: নির্বাচনের পরেই বসতে চলেছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আসর। জুলাই মাসে হবে এই মেলা। এমনই জানিয়েছে বইমেলা কর্তৃপক্ষ। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার সময় পিছিয়েছে। সেটি হবে জুলাই মাসে।
আরও জানানো হয়েছে, পূর্ববর্তী মেলায় ঠিক হয়েছিল থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতা বইমেলা কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে। এবার মেলা উৎসর্গ করা হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার নামে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান শাসন থেকে ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করে।
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী চলেছে। তাঁকে উৎসর্গ করে ৪৫ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
গিল্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবারের মেলায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী ও সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ পালিত হবে।
অন্যদিকে করোনার কারণে পিছিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। প্রতিবার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলা শুরু হয়ে একমাস টানা চলে। এবার ঢাকার বইমেলা হবে মার্চ মাসে। ঢাকা বাংলা একাডেমি এই বিষয়ে সেদেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে।
এদিকে কলকাতা বইমেলার আয়োজন নিয়ে তৎপর গিল্ড জানিয়েছে, সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কেই হবে মেলা। গিল্ড বিজ্ঞপ্তি অনুসারে রাজ্যে ভোট পরবর্তী সময়েই হতে চলেছে মেলা। গিল্ড জানিয়েছে, এই প্রথম কলকাতা বইমেলায় উদযাপিত হবে একুশে ভাষা উৎসব। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কে স্মরণ করে হবে এই অনুষ্ঠান।
১৯৫২ সালে ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা কে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন হয়। সেই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহিদদের স্মৃতিতে পরবর্তী সময়ে ইউনেস্কো দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.