আগেই চিন আধিপত্ত বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছিল শ্রীলঙ্কায়। এবার কী তবে বেজিংয়ের অঙ্গুলিহেলনেই ভারতের সঙ্গে বব্দর চুক্তি বাতিল করল শ্রীলঙ্কা? বিভিন্ন মহলে এই প্রশ্নই উঠেছে। যদিও রাষ্ট্রপতি রাজপক্ষে নিজে দেশবাসীকে অভয় দিয়েছিলেন, তবুও শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হন রাজপক্ষে। জানা গিয়েছে, রাজাপক্ষ সরকারের অনেক মন্ত্রী-আমলাও এই চুক্তির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। আর তাতেই শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে হয় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, ভারতের পাশাপাশি এই চিক্তির সঙ্গে যিক্ত ছিল জাপানও। এবং আঞ্চলিক ভাবে এই দুই দেশই চিনের প্রতিপক্ষ। সূত্রের খবর, চিনের নির্দেশেই শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত এই দুই দেশের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। শ্রীলঙ্কার এই সিদ্ধান্তে কূটনীতিগত ভাবে ভারতকে বড় ধাক্কা দিয়েছএ বলেও মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এবং চিনের কাছে এটা বড় প্রাপ্তি।
ভারত মহাসাগরে শ্রীলঙ্কার অবস্থানেই উপর অনেকটাই নির্ভর করে ভারত-চিন আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য। এবং বরাবরই শ্রীলঙ্কা ভারতকে এই বিষয়ে ভরসা জুগিয়েছে। যদিও সামপ্রতিককালে চিন সেই স্থান নিতে শুরু করে। আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে দিল্লির কপালে। রাজাপক্ষ সরকারকে মোটা টাকার ঋণও দিয়েছে চিন।
এর আগে ঋণ শোধ করতে না পেরে ২০১৭ সালে সেখানকার একটি বন্দর বেজিংয়ের এক সংস্থাকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিতে বাধ্য হয় কলম্বো। এদিকে এই চুক্তি বাতিল করলেও কলম্বো বন্দরের পশ্চিমে আর একটি টার্মিনাল উন্নয়ন প্রকল্পে ভারত এবং জাপানকে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। যদিও চিনের চাপে সেই প্রকল্পতেও ভারত যুক্ত থাকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।