চেন্নাই: আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পপ তারকা রিহানা কিংবা পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ সুর চড়ানোয় ভারতবর্ষের কৃষক আন্দোলন এখন আন্তর্জাতিক স্তরেও চর্চিত হচ্ছে। কঠিন পরিস্থিতিতে দেশের স্বনামধন্য ক্রিকেট ব্যক্তিত্বরা আবার ‘ঐক্যবদ্ধ ভারতে’র ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে একজোট করার লক্ষ্যে। এমন সময় দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ক্রিকেট সিরিজ অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমেও যে কৃষক আন্দোলন আলোচনায় স্থান পাবে, তেমনটা স্বাভাবিক। আর হলও ঠিক তাই।

কৃষক আন্দোলনের আবহে শুক্রবার দেশের মাটিতে শুরু হতে চলা ইংল্যান্ড সিরিজের আগে কোহলিদের সাজঘরেও ঢুকে পড়ল কৃষি বিলের প্রতিবাদে রাজধানী দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের বিষয়টি। ‘মতভেদের চরম মুহূর্তে সময় এসেছে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার। কৃষকরা আমাদের দেশের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমি নিশ্চিত একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সমঝোতা নিশ্চয় বেরিয়ে আসবে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর যৌথ উদ্যোগে। যা আবার শান্তি ফিরিয়ে আনবে এবং একসঙ্গে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’

বুধবার দিল্লির কৃষক আন্দোলন নিয়ে এমনই একটি টুইট করেছিলেন বিরাট কোহলি। আর বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের আগেরদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিরাট জানালেন, দেশ যে ঘটনায় তোলপাড় হচ্ছে সেটা নিয়ে সাজঘরে আলোচনা তো হবেই। এক সাংবাদিক এদিন ভারত অধিনায়ককে জিজ্ঞেস করেন, ‘ড্রেসিংরুমের আলোচনায় কৃষকরা কী কোনওভাবে জায়গা পাচ্ছেন?’ উত্তরে অধিনায়ক বলেন, ‘দেশে ঘটছে এমন ঘটনা নিয়ে আমরা সবসময় আলোচনা করে থাকি। প্রত্যেকেই বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মতামত পোষণ করেছে, ব্যস এইটুকুই। টিম মিটিংয়ে বিষয়টা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনাই হয়েছে। এরপর আমরা ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনায় ঢুকে গিয়েছিলাম।’

‘কৃষক আন্দোলন নিয়ে আমরা কেন কথা বলছি না?’ মঙ্গলবার রাতে রিহানার এমন একটা টুইটেই তোলপাড় হয়ে যায় গোটা দেশে। শুধু রিহানা নন, লেবানিজ-আমেরিকান পর্নস্টার মিয়া খালিফা কিংবা পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ভারতবর্ষের কৃষক আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে স্বার্থ চরিতার্থ করতেই রিহানাদের এমন উদ্বেগপ্রকাশ।

সচিন তেন্ডুলকর এই প্রসঙ্গে সরকারের পক্ষ নিয়ে টুইট করে নেটাগরিকদের রোষের মুখেও পড়েছেন। রিহানাদের টুইট নিয়ে মাস্টার-ব্লাস্টার বুধবার লেখেন, ‘ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করা হবে না। বাইরের শক্তি দর্শক হতে পারে কিন্তু কোনওভাবেই দেশের কোনও ঘটনায় জড়িয়ে পড়তে পারে না। ভারতীয়রাই ভারতীয়দের সবচেয়ে ভাল জানে তাই ভারতীয়দেরই উচিৎ ভারতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকার সময় এসেছে।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।