স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ হওয়া উত্তরবঙ্গের তিনটি ট্রেনের পরিষেবা ফের শুরু হচ্ছে। এরমধ্যে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে দুটি এবং ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে একটি ট্রেন পরিষেবা চালু হচ্ছে৷ প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ট্রেন হিসেবেই চলবে এই তিনটি ট্রেন। এর ফলে উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগের সমস্যা মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তের মধ্যে যোগাযোগের মূল মাধ্যম হল রেল। বিশেষ করে পর্যটন মরসুমে এবং পর্যটক টানতে রেল পরিষেবা সহজ হওয়া দরকার, মানছেন আধিকারিকেরা। এবার সেই সমস্যা মিটতে চলেছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতা স্টেশন থেকে হলদিবাড়ি এবং শিয়ালদহ থেকে কোচবিহারের বামনহাট পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে শিয়ালদহ থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা। এদিকে, পর্যটন ব্যবসায়ীদের সেই দাবি মেনে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ফের চালু করছে রেল। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনটি চালু হবে বলে বুধবার জানিয়েছে । পরদিন চলবে ডুয়ার্স থেকে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে দার্জিলিং মেল এবং তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস।
দীর্ঘ ১০ মাস পর গুরুত্বপূর্ণ ওই ট্রেনটির পরিষেবা ফের চালু হচ্ছে। তার সঙ্গেই উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ও আরও কিছু প্যাসেঞ্জার এবং দূরপাল্লার ট্রেনও স্পেশাল হিসেবে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। কাঞ্চনকন্যা নতুন করে চালু হওয়ার খবরে খুশি পর্যটক মহল।
নিউ নর্মালেও ডুয়ার্সের ট্রেন পরিষেবা না থাকার কারণেই ভেঙে পড়া পর্যটন শিল্প উঠে দাঁড়াতে পারছে না বলে অভিযোগ তোলেন ব্যবসায়ীরা। দিনের পর দিন রেলের কাছে আবেদন করেন ব্যবসায়ীরা। অবশেষে ট্রেন চালু করার সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
উল্লেখ্য, উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়ে কদিন আগে উত্তরবঙ্গে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু করার অনুরোধ জানান রাজ্যের পরিবহনসচিব রাজেশকুমার সিং৷ তারপরই রেল বোর্ডের চিঠিতে বলা হয়, ডেমু, ইন্টারসিটি, প্যাসেঞ্জার ট্রেন মিলিয়ে ২১ জোড়া ট্রেন বাতিল রাখা হবে। সেগুলির মধ্যে মালদহ–বালুরঘাট, নিউ জলপাইগুড়ি–আলিপুরদুয়ার প্যাসেঞ্জার, শিলিগুড়ি–বামনহাট, শিলিগুড়ি–দিনহাটার মতো ট্রেনও রয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.