নয়াদিল্লি : কৃষকদের সমর্থনে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সহ বেশ কয়েকজন বিরোধী সাংসদ। ছিলেন শিরোমণি অকালি দল, ডিএমকে, এনসিপির সাংসদরাও। বৃহস্পতিবার নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতা করে গাজীপুর সীমান্তে জমায়েত করেন তাঁরা।
তবে সেই জমায়েতে সায় ছিল না পুলিশে। গাজীপুর সীমান্তে এদিন দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি ও তিরুচি শিবা, এসএডি-র হরসিমরত কৌরের মত নেতা নেত্রীরা। হরসিমরত কৌরের নেতৃত্বেই ১০টি বিরোধী দলের সাংসদ এদিন গাজীপুর সীমান্তে যান। এই দলে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স, আরএসপি ও আইইউএমএলের মতো দলের নেতারাও।
তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এই আশংকায় দিল্লি উত্তরপ্রদেশ সীমান্তের গাজীপুরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি করা হয়। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। মোট ১৫জন নেতা যান সেখানে। তার আগেই গাজীপুর সীমান্ত অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ। নিয়োগ করা হয় ৩১ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী ও ১৬ কোম্পানি র্যাফ।
বিরোধী নেতাদের অভিযোগ কৃষক নেতাদের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। এদিকে, কৃষক বিক্ষোভ রুখতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। এবার কৃষক বিক্ষোভ ইস্যুতে কেন্দ্র নোটিশ ধরাল টুইটারকে। কৃষক বিক্ষোভ সংক্রান্ত হ্যাশট্যাগ সম্পর্কিত পোস্ট ও অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দিল কেন্দ্র। এব্যাপারে ফাইনাল নোটিশ দিয়ে টুইটারকে কেন্দ্র জানিয়েছে নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যে টুইটার অ্যাকাউন্টগুলিকে তথ্যমন্ত্রকের অভিযোগে ব্লক করা হয়েছিল সোমবার সেই অ্যাকাউন্টগুলিকে আনব্লক করা হলে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক টুইটারকে এই নোটিশ পাঠিয়েছে। পাঁচ পৃষ্ঠার এই নোটিশে যথেষ্ট কড়া মনোভাবের উল্লেখ রয়েছে। নোটিশে লেখা হয়েছে, #ModiPlanningFarmerGenocide এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইটারে পোস্ট পাব্লিশ করা হচ্ছে, যা ভুল এবং যার উদ্দেশ্যে ঘৃণা তৈরি করা। নোটিশে বলা হয়েছে, “এটা একটা সুপরিকল্পিত অভিযান যা কোনও ভিত্তি ছাড়াই সমাজে উত্তেজনা তৈরির জন্য করা হচ্ছে।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.