নয়াদিল্লি: ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) শেয়ার বাজারে ছাড়া হলেও তখন পলিসিহোল্ডারদের এই সংস্থার শেয়ার কেনার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকার পরিকল্পনা করছে এলআইসি-র আইপিওতে ১০ শতাংশ পলিসিহোল্ডারের জন্য সংরক্ষিত রাখার। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই জানাচ্ছে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে ডিআইপিএএম সচিব তুহিনকান্ত পান্ডে তেমনটাই জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন , এলআইসি আইপিওর ক্ষেত্রে পলিসিহোল্ডারদর জন্য কিছু অফার রাখার, সে ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ পর্যন্ত পলিসি হোল্ডারদের জন্য দেওয়া যেতে পারে।
সোমবার বাজেট পেশের সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তার ভাষণে উল্লেখ করেন এলআইসি আইপিও কথা। যার মাধ্যমে পরের অর্থবর্ষে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে আনার কথা বলেছেন। সোমবারের ঘোষিত বেসরকারিকরণের নীতি প্রসঙ্গে তুহিনকান্ত পান্ডের বক্তব্য, এটা পরিবর্তনে মাধ্যমে আগামী চার পাঁচ বছরের অটো রোডম্যাপ তৈরি হবে। তিনি মনে করেন, রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থার ক্ষেত্রে ১৯৯১ সালের সংস্কারের পর এটাই সবথেকে বড় সংস্কার। তিনি জানান, ২০০৪ সালে একটা নীতি ছিল কিন্তু সেটা ছিল ‘কেস বাই কেস বেসিসে’র। এটাই প্রথমবার যেটা সমস্ত নন স্ট্যাটিজিক ক্ষেত্রে এটা পাওয়া যাবে।
বাজেটে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারিকরণের দিকে জোর দিচ্ছে যাতে সরকারি খরচে জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের ব্যবস্থা হয়। যদিও মাথায় রাখতে হবে চলতি আর্থিক বছরে সরকার বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ১৭,৯৫৭ কোটি টাকা তুলেছে যেখানে বাজেটে ধরা হয়েছিল ২.১ লক্ষ কোটি টাকা।তবে শেয়ার বাজার এখন বেশ উপরে থাকায় তার সুবিধা নিতে চাইছে কেন্দ্র।তুহিনকান্ত জানিয়েছেন, গতবছর লগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি কোভিড অতি মহামারীর কারণে। কিন্তু সেই সময়টা পেরিয়ে আসা গিয়েছে বলে মনে করছেন। তিনি আশাবাদী এবারে বিক্রয় প্রক্রিয়া শেষ করা যাবে এবং বাস্তবের লক্ষ্য পূরণ হবে।
সরকার সোমবার ঘোষণা করেছে, দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক একটি সাধারন বিমা সংস্থার বেসরকারিকরণ হবে এবং এলআইসি শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত হবে পরের অর্থবর্ষে। আটকে থাকা বিপিসিএল এবং এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণের কাজ কেন্দ্র শেষ করবে এবং আগামী অর্থবছরে বিলগ্নীকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.