নয়াদিল্লি: কৃষকদের আন্দোলন সমর্থন করছে না বিশ্বের কোনও দেশই। বুধবার লোকসভায় এই খবর জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরন লিখিত ভাবে এই প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান জানান। এদিন লোকসভায় অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসালিমিনের (এআইএমআইএম) সংসদ সদস্য সৈয়দ ইমতিয়াজ জালিল এবং আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এই সংক্রান্ত প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল কিছু দেশ ও PIO কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন করছে। এই খবর সত্য়ি কিনা সে বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের প্রশ্নের উত্তরেই বিদেশ প্রতিমন্ত্রী জানান কোনও দেশই কৃষকদের প্রতিবাদকে সমর্থন করছে না।

মুরালিধরন এদিন বলেন, “ভারতের পার্লামেন্ট যে তিনটি কৃষি আইন পাশ করেছে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কৃষকরা। কিন্তু বিশ্বের কোনও দেশের সরকারই তাদের সমর্থন করছে না। কানাডা, ব্রিটেন ও আমেরিকা সহ কয়েকটি ইউরোপিয়ান দেশ থেকে যদিও কয়েকটি বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদের খবর পাওয়া গিয়েছে।” মুরলিধরন এদিন আরও বলেছেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্ট্রিন ট্রুডো ভারতে কৃষকদের নিয়ে কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন। তারপর ভারতের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে যে এটি সম্পূর্ণভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে এই রকম মন্তব্য সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। এই মন্তব্য ভারত ও কানাডার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষতি করবে বলেও ভারতের তরফে জানানো হয়েছে বলে জানান বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। তবে ভারত যে ইস্যুটি নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছে এই বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে কানাডা।

গত ডিসেম্বরে ট্রুডো ফেসবুকের একটি ভিডিওতে ভারতের কৃষকদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এর উত্তরে ভারত কানাডা দূতাবাসকে সমন পাঠায়। তাদের ভারত সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় ট্রুডো ও কানাডার আইণপ্রণেতাদের এই ধরনের মন্তব্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পার। এরপরই ট্রুডো নিজের মন্তব্য থেকে খানিকটা সরে আসেন ও বলেন, বিশ্বের যে কোনও জায়গায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পাশে রয়েছে তারা।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও ভারতীয় কৃষকদের এই প্রতিবাদের ঘটনা উঠে এসেছিল। ৩৬ জন ব্রিটিশ সাংসদ এনিয়ে সেদেশের বিদেশমন্ত্রী ডমিনিক রাবকে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয় এই মাসের শেষের দিকে ভারত সফরের সময় তিনি যেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: Work from Home এর বাস্তব ছবি নিয়ে আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অনিরুদ্ধ দেব।