ওয়াশিংটন: বিশ্বের সর্বাধিক ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক জানালেন মানুষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পৃথিবী ছেড়ে অন্য গ্রহের দিকে না যায় তবে মানবতার অবসান নিশ্চিত। স্পেসএক্স সংস্থার মালিক বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন, মানবতার ভবিষ্যত রক্ষার জন্য মানুষকে অন্য গ্রহে পাঠানো উচিৎ।

আমেরিকার অ্যাপোলো যান চাঁদে নেমেছে আজ থেকে প্রায় ৪৯ বছর আগে। এত সময় ধরেও মানুষ এখনও চাঁদে বা অন্য কোনও জায়গায় বসতি স্থাপন করতে পারেনি। মাস্ক-এর পরিকল্পনা হল, আগামী ১০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলে বসতি স্থাপন করা।

অন্য গ্রহ ভবিষ্যৎ

মানুষের নিকটতমতম একটি গ্রহ ও উপগ্রহ মঙ্গল এবং চাঁদ। বুধ ও শুক্রে থাকার মতো পরিবেশ নেই মঙ্গল ছাড়াও বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহ রয়েছে যেখানে বায়ুমণ্ডল গ্যাসে পূর্ণ। এলান মাস্ক এই গ্রহে শুধুমাত্র যেতেই চান না, তিনি চান ওই গ্রহগুলিতে মানুষ স্থায়ীভাবে বাস করুক। তিনি বলছেন, মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখতে এসব করতে হবে।

সোমবার এলন মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় মানবতার ভবিষ্যৎ ও নিজের প্ল্যান সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এমন ভাবে বসতি স্থাপন করেই আমরা দীর্ঘসময়ের জন্য মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি।

তিনি বলেন, সব সভ্যতা আসলে একটি বৃত্ত সম্পন্ন করে। প্রথমে তার বিকাশ হয়, এরপর প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁরা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পতন শুরু হয় ও ধীরে ধীরে সেই সভ্যতার অবসান ঘটে। এটিই হয়ে আসছে।

মিশরীয় পিরামিড ও রোমান সাম্রাজ্য

পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মিশরের উদাহরণ দিয়ে বলেন, আপনি মিশরকে দেখুন প্রায় ৫০০০ বছর আগে মানুষ পিরামিড বানিয়েছিল। কিন্তু এরপর কোনও ভাবে সেখানকার মানুষ পিরামিড বানাওর কৌশল ভুলে যায়। রোমান সাম্রাজ্য, সুমেরীয় সভ্যতা এবং ব্যাবিলনীয় সভ্যতা থেকেও শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, আমরাও এমন একটি বৃত্তের মধ্যে রয়েছি, যেখানে পতন অবশ্যাম্ভাবী। তিনি পৃথিবীর বাহ্যিক বিপদের কথাও বলেন। এপ্রসঙ্গে ডাইনোসরদের বিলুপ্ত হবার উল্কাপিণ্ড পড়ার কথা বলেন তিনি।

পৃথিবীর ইতিহাসে এখন অবধি ৫ প্রলয়

বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এখন অবধি পৃথিবীর ইতিহাসে ৫ বার মহাপ্রলয় ঘটেছে। যার জেরে সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছু গবেষণা বলেছে, এটা একটা চক্রের অংশ। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এমন কাধিক সুরক্ষা পরিকল্পনা করছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।