কলকাতা: জোড়াবাগানে বালিকার মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা৷ পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা৷ পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে৷ এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মার খেল বিজেপি কর্মীরা৷ পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের৷
সূত্রের খবর,মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজ হয়ে যায় ৯ বছরের এক বালিকা৷ বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃতদেহটি একটি বহুতলের সিঁড়িতে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জোড়াবাগান থানার পুলিশ ও লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা৷ আনা হয় পুলিশের স্নিফার ডগ৷ এছাড়া ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পুলিশের সায়েন্টিফিক উইং-ও। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ৷
অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে ওই বালিকাকে। ওই বালিকা শোভাবাজার থেকে জোড়াবাগান মামার বাড়িতে এসে বুধবার রাতে নিখোঁজ হয়ে যায়৷ রাতেই জোড়াবাগান থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়৷ তারপর বৃহস্পতিবার সকালে মামার বাড়ির পাশেই একটি বহুতলের সিঁড়িতে ওই বালিকার মৃতদেঙ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা৷
ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে বালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ এদিন জোড়াবাগানের ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে বিজেপি প্রথমে তাদের সঙ্গে তৃণমূলের বচসা বাধে৷ তারপর উভয় দল মারপিঠে জড়িয়ে পড়ে৷ বিজেপির অভিযোগ,মাটিতে ফেলে তাদেরকে মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা৷ রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ৷
অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকায় এসে উত্তেজনা সৃস্টি করছিল বিজেপি কর্মীরা৷ তাদের বাধা দিলে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের কর্মীদেরকে মারধর করে৷ এরপর এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়৷ গার্ড রেল দেওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ৷
অপর একটি ঘটনা ঘটে এন্টালি থানা এলাকায়৷ বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ একদল দুস্কৃতি এসে হামলা চালায়৷ একজনকে ছুড়ি দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ৷ বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে এন্টালি থানার পুলিশ৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.