কোয়েম্বাটোর: বিজ্ঞান আর প্রকৃতির অত্য়াশ্চর্য ক্ষমতা মিশলে যে কী হতে পারে, সম্প্রতি তার একটি নজির মিলল। গাছের মধ্যে ইলেকট্রনিক সেন্সর ব্যবহার করে এক অত্য়াশ্চর্য জিনিস আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের গবেষণা বলছে, মাটির নিচে এবার রাসায়নিকের সন্ধান দিতে পারবে গাছ। এমনকী ইমেল পাঠিয়ে সতর্কও করতে পারবে। সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই অসাধ্য সাধন করেছেন।
কার্বনের ন্যানোটিউব ও ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করে পালং গাছের সঙ্গে এই গবেষণা করেছেন তাঁরা। মাটিতে কোনও রায়াসনিক থাকলে এই অত্য়াধুনিক গাছ ইমেল পাঠিয়ে সতর্ক করে দিতে পারবে। এমনকী মাটিতে কোন রায়াসনিক কতটা পরিমাণে রয়েছে, তারও সন্ধান দিতে পারবে গাছ। এই খোঁজার কাজটি করবে পালংয়ের শিকড়। ভূগর্ভস্থ জলের মধ্যে কতটা বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে, তা জানতে পারবে গাছ। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অনেকগুলি পালং গাছের মূল একত্রিত হয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করবে। সেই মারফৎই খবর পাবেন বিজ্ঞানীরা।
শুধু রাসায়নিকের খোঁজই নয়। বিস্ফোরক খুঁজে পেতেও সাহায্য করবে পালং গাছ। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও দূষণের খবরও জানা যাবে। কারণ গাছ পরিবেশের পরিবর্তন খুব তাড়াতাড়ি ধরতে পারে। গাছের এই ক্ষমতার সঙ্গে বৈজ্ঞানী প্রযুক্তি মিলিয়ে এই অসাধ্য সাধন হয়েছে। এর জন্য ন্যানোটেকনোলজির ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর নাম প্ল্যান্ট ন্যানোবায়োনিক্স। গাছের মধ্যে বসানো হয়েছে ন্যনোপার্টিকলস। ২০১৬ সালের নেচার মেটেরিয়ালস জার্নালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এই গবেষণা তারই অংশ।
সাধারণত শিল্পক্ষেত্রে একটি যৌগ ব্যবহৃত হয়। নাম নাইট্রোঅ্যারোমেটিক্স। এটি বিস্ফোরক তৈরি করতেও কাজে লাগে। গাছ যখন ভূগর্ভস্থ জল শোষণ করবে তখন এই যৌগ তার সঙ্গে গাছের শরীরে প্রবেশ করবে। এরপর জল বাস্পাকারে নির্গত করার সময় এগুলি মেসোফিলে জমে যাবে। যা পাতায় প্রতিফলিত হবে। ইঞ্জিনিয়ররা পাতার মেসোফিলের ভিতর ফ্লুরোসেন্ট ন্যানোসেন্সরের একক প্রাচীরযুক্ত কার্বন ন্যানোটিউবগুলি স্থাপন করেছেন। গবেষণার সময় যখন নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড পাতার মধ্যে জমা হচ্ছিল তখন একটি সংকেত দিচ্ছিল। সেটি আগে থেকে প্রোগ্রাম করে রাখা ইমেল অ্যালার্ট তৈরি করছিল। গাছ যেহেতু পরিবেশের পরবর্তন দ্রুত ধরতে পারে তাই গবেষকরা পরিবেশের সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণে রাখতে প্ল্যান্ট ন্যানোবায়োনিক্সের প্রয়োগ করেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.