কাঁথিতে অভিষেকের সভা
এবার একেবারে শুভেন্দুর ডেরায় পা রাখতে চলেছেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর দল বদলের পর অভিষেরকই হয়ে উঠেছে তাঁর মূল টার্গেট। একের পর এক সভা থেকে অভিষেককে আক্রমণ করে তোলাবাজ ভাইপো বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার শুভেন্দুর ডেরায় পা রেখে অভিষেক কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। শাসক দলের নেতা কর্মীরাও এই নিয়ে উৎসাহে ফুটছে।
শিশিরকে আমন্ত্রণ
অনেকটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই অভিষেকের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শিশির অধিকারীকে। গত কয়েক মাসে শিশির অধিকারীর সঙ্গেও দলের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে দলের একাধিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পূর্ব মেদিনীপুরে দলনেত্রীর সভাতেও দেখা যায়নি শিশির অধিকারীকে। অভিষেকের সভায় অখিল গিরির যে গুরুত্ব থাকবেই তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এরই মাঝে অখিল গিরির প্রবল প্রতিপক্ষ শিশিরকে আমন্ত্রণ জানানোর নেপথ্যে শাসক দলের অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আমন্ত্রণ পেলেন না দিব্যেন্দু
গত কয়েকদিন ধরেই দিব্যেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা পারদ চড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁকে। তারপরেই ৮টি পদ থেকে একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী। তার সঙ্গে আবার দিব্যেন্দু অভিযোগ করেছেন তাঁর কাছে হুমকি দিয়ে ফোন আসছে। নন্দীগ্রাম, হলদিয়ায় পা রাখলেই মারধর করা হবে বলে ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
শুভেন্দুই কি টার্গেট
কাঁথিতে অভিষেকের সভায় অধিকারী পরিবারকে নিয়ে এরকম দুরকম অবস্থানের নেপথ্যে একটিই উদ্দেশ্য কাজ করছে তিনি শুভেন্দু অধিকারী। অধিকারী পরিবারে বাবা-ছেলের সম্পর্কে ফাটল ধরাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের এই সুকৌশলী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলেওএখনও শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কোনও কথা বলেননি। উল্টে তাঁরা জানিয়েছেন এখনও তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসেই রয়েছেন।