আবু ধাবি: ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল মানেই ছক্কা আর চারের ফুলঝুরি। স্থান, কাল কিংবা জার্সির বদল হলেও জামাইকান ব্যাটিং মায়েস্ত্রোর আগ্রাসন একই থাকে। বুধবার আবু ধাবির টি১০ লিগ সাক্ষী থাকল উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং তান্ডবের। টিম আবু ধাবির হয়ে এদিন মাত্র ২২ বলে ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস এল ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে। যা সাজানো ছিল ৯টি ছক্কা এবং ৬টি চার দিয়ে। মারাঠা আরাবিয়ানসের ৯৭ রান তাড়া করতে নেমে গেইলের ব্যাটিং ক্যারিশমায় মাত্র ৫.৩ ওভারেই জয় তুলে নিল আবু ধাবি।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দলকে ম্যাচ জেতানোর পাশাপাশি নিজেও টি১০ লিগে একটি রেকর্ডের অধিকারী হলেন গেইল। এদিন মাত্র ১২ বলে হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে টি১০ লিগে দ্রুততম শতরান হাঁকানোর নিরিখে মহম্মদ শেহজাদকে ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। ২০১৮ সংস্করণে রাজপুতদের হয়ে ১২ বলে টুর্নামেন্টের দ্রুততম অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন আফগান ব্যাটসম্যান। ব্যক্তিগত ৮৪ রানের মধ্যে এদিন গেইলের ব্যাটে ৭৮ রান আসে বাউন্ডারি থেকে।
বছর আঠারোর ওপেনার আলিশান শারাফুর ব্যাটে এদিন প্রথমে ব্যাট করে ১০ ওভারে ৪ উইকেট খুঁইয়ে ৯৭ রান তোলে মারাঠা আরাবিয়ানস। ২টি চার এবং ৩টি ছয়ে ২৩ বলে ৩৩ রান করেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর এই টিন-এজ ব্যাটসম্যান। ১৩ বলে ২০ রান করেন মহম্মদ হাফিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণের পথ বেছে নেন গেইল এবং তাঁর পার্টনার পল স্টার্লিং। বিপক্ষ বোলারদের বেদম প্রহার করে প্রথম ওভারে ১৮ এবং দ্বিতীয় ওভারে ২৭ রান সংগ্রহ করে নেন এই দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। এরমধ্যে যদিও ৩৬ রান একা গেইলেরই।
তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে স্টার্লিং ১১ রানে আউট হলেও তাঁর বিধ্বংসী রুপ বজায় রেখে প্রথমে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন জামাইকান ব্যাটসম্যান। এরপর জো ক্লার্ককে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলেই দলকে পৌঁছে দেন লক্ষ্যমাত্রায়। মুক্তার আলিকে মিড-উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের রান সংগ্রহ করেন গেইল। সবমিলিয়ে ৯ উইকেটে জয় তুলে নেয় গেইলের টিম আবুধাবি। চলতি বছর চতুর্থ সংস্করণে প্রথমবার টি১০ লিগে খেলছেন জামাইকান ব্যাটিং মায়েস্ত্রো।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.