কলকাতা: করোনাকালে এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু নিয়ে রাজ্যপালের প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রী। করোনাবিধি মেনে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে। কিন্তু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শুরু খুলছে না এখনই।
রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যকে বিঁধে এদিন ধনকড় বলেন, ‘‘রাজ্যে স্কুল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়ারা কেন ক্লাস করতে পারবে না? রাজ্য সরকার কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল? আমি তো এব্যাপারে কিছুই জানি না। রাজ্য প্রশাসনের তরফে আমাকে কিছু জানানো হয় না।’’
আপাতত খুলছে না রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভরসা এখন অনলাইন ক্লাসই। তবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস। ২-১ দিনের মধ্যেই জারি হবে বিজ্ঞপ্তি। এমনটাই শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর মিলেছে।
বুধবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন,কোভিড প্রোটোকোল মেনে নবম, দশম ও একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালুর ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিভাবকদের একাংশ। তাই আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। স্কুল খুললেও একদিনে একসঙ্গে সব পড়ুয়াকে স্কুলে আনতে চায় না সরকার।
নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে এখন জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক৷ দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে জোরকদমে। খুলে গিয়েছে সরকারি, বেসরকারি অফিস থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মক্ষেত্র। লকডাউনের পর্ব ভুলে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে মানুষ।
করোনা-বিধি মেনে চলছে সব কর্মকাণ্ড। করোনার জেরে গত বছরের মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের স্কুল, কলেজ-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাসের পর মাস ধরে অনলাইন ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে পড়ুয়ারা। তবে এবার ধীরে ধীরে প্রথম ধাপে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু করতে চলেছে সরকার।
তবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আপাতত বন্ধই থাকছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই এদিন প্রশ্ন তুলেছেন। ‘‘রাজ্যে স্কুল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়ারা কেন ক্লাস করতে পারবে না? রাজ্য সরকার কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল? আমি তো এব্যাপারে কিছুই জানি না। রাজ্য প্রশাসনের তরফে আমাকে কিছু জানানো হয় না।’’
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও এদিন আবারও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। জগদীপ ধনকড় এদিন বলেছেন, ‘‘রাজ্যে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চারিদিকে ভয়ানক, ভয়াবহ পরিস্থিতি। রাজভবনে যদি কেউ আসেন, সেখানেও তাঁরা নাম লেখাতে ভয় পাচ্ছেন।’’
এর আগেও একাধিকবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। মাসখানে আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তলবে দিল্লিতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ্যপাল। অমিত শাহকেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ধনকড়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.