লখনউ: যোগীরাজ্যে ধর্নায় বসতে হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাই প্রহ্লাদ মোদীকে! বুধবার লখনউ বিমানবন্দরে এঘটনা ঘটেছে। শুধু ধর্না না, একই সঙ্গে অনশনের কথাও বলেন তিনি। তবে তাঁর দাবি মেনে নেওয়ার পরে তিনি ধর্না ও অনশন তুলে নেন।
ঠিক কী ঘটেছিল?
প্রহ্লাদ মোদীর অভিযোগ তাঁর যে সব সমর্থকেরা তাঁকে লখনউ বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে এসেছিল, বিনা কারণে তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপরেই তাঁদের মুক্তির দাবিতে ধর্নায় বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাই।
তিনি জানিয়েছেন, “কিছু সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য আমি উত্তরপ্রদেশ আসি। এখানে আমার প্রয়াগরাজ, প্রতাপগড়, সুলতানপুর এবং জৌনপুরে যাওয়ার কথা ছিল। আমাকে প্রয়াগরাজে নিয়ে যেতে লোক আসে, কিন্তু পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার চেষ্টা করে। এসময় আমার মনে হয়েছে যদি আমার লোকেরা জেলে থাকে ও আমি বাইরেই স্বাধীনভাবে থাকি, সেটা ঠিক না। তাই আমি আজ (বুধবার) এখানে অনশনে বসেছি।”
প্রহ্লাদ মোদীর বক্তব্য, তিনি যখন পুলিশকে এব্যাপারে প্রশ্ন করেন, তখন নাকি তাঁরা বলেছিলেন পিএমওর আদেশ রয়েছে। তবে তিনি সেই অর্ডার দেখতে চাইলে পুলিশকর্মীরা তাঁকে কোনও অর্ডারের কপি দেখাতে পারেনি বলে দাবি। তিনি জানিয়েছেন, এটা পিএমও’কে বদনাম করার চেষ্টা অথবা অন্য কিছু।
জানা গিয়েছে, ১৪৪ ধারা অনুযায়ী প্রহ্লাদ মোদীর ওই সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। সমর্থকদের মুক্তির পরে নিজের অনশন ভাঙেন প্রহ্লাদ মোদী। অনশন ভেঙে তিনি জানান, “যে লোকেরা আমাকে নিতে এসেছিল পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। ১০০ জনের বেশি লোককে পুলিশ ধরে নেয়। আমার মনে হয়েছিল, এই লোকেদের মুক্তি না দেওয়া অবধি আমার লখনউ যাওয়ার কোনও অধিকার নেই। তাই আমি ধর্নায় বসেছিলাম, তবে এখন খবর পেয়েছি যাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ছাড়া পেয়ে আমাকে ফোনও করেছে। তাই আমি আমার অনশন তুলে নিলাম।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.