স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: এবার সরকারি অফিসে প্রত্যেকটা দফতরে কর্মীদের ১০০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দিল নবান্ন৷ বৃহস্পতিবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে৷ সামনেই ভোট৷ সেই কারণেই দফতরগুলির আধিকারিক ও কর্মীদের হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই গুরুত্ব দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বেসরকারি অফিসগুলিকেও যতটা সম্ভব ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় সরকারি কর্মচারীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নতুন করে গাইডলাইন জারি করেছিল রাজ্য সরকার৷ বিভাগীয় প্রধানদের তৈরি ‘রোস্টার’ অনুযায়ী এতদিন ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়েই কাজ কাজ চালাচ্ছিল দফতরগুলি। এবার ভোটের মুখে প্রতিটা দফতরে কর্মীদের ১০০ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হল৷ উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ জুন থেকে কর্মীদের ১০০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করে কলকাতা পুরসভা৷ তবে, সংক্রমণ রুখতে প্রতিটা সরকারি দফতরে গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও থার্মাল স্ক্যানার রাখা হয়েছে। হাত স্যানিটাইজ করে দেহের তাপমাত্রা দেখে তবে কর্মীদের ঢোকানো হচ্ছে ভিতরে।
এদিকে, বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৮১ জন৷ মৃত্যু হয়েছে আরও ১০ হাজার ১৯৫ জনের৷ তবে মোট করোনামুক্ত হয়েছেন ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ১৯০ জন৷ তার ফলে রাজ্যে এই মূহুর্তে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা কমে ৫ হাজার ১৯৬ জন৷ বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত (COVID-19) হয়েছেন ২০১ জন৷
রাজ্যে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের৷ মঙ্গলবার ছিল ৯ জন৷ সোমবার ছিল মাত্র ৬ জন৷ তারফলে বাংলায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ১৯৫ জন৷ এদের মধ্যে শুধু কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৩,০৭৮ জনের৷ আর উত্তর ২৪ পরগণার সংখ্যাটা ২,৪৮৩ জন৷
এদিকে, বুধবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনের টিকাকরণ। এনআরএস-সহ তিন সরকারি হাসপাতালে টিকাদান করা হয়। এ নিয়ে রাজ্য়ের স্বাস্থ্যকর্তারা বেশ খুশি। তাঁরা সকলে কোভ্যাক্সিন নিয়ে সুস্থ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.