নয়াদিল্লি : একদিকে বৃষ্টি সঙ্গে তুষারপাত, কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশার দাপট। সবমিলিয়ে উত্তর ভারত জুড়ে চলছে কড়া শীত। মনে করা হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তা কমবে কিন্তু আদৌ তা হয়নি বেড়েই চলেছে শীত। এমনটাই যানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় হাওয়া অফিস সূত্রে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস আনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি কাশ্মীর, গিলগিট বাল্টিস্তান, মুজফ্ফরাবাদ, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে। সঙ্গে তুষারপাতও হতে পারে এছাড়াও। আগামী ২৪ ঘন্টায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়। এদিন দিল্লিতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশেও আজ থেকেই বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এই অংশের পূর্ব ও মধ্যা প্রান্তেও বৃষ্টি হতে পারে বলে খবর। বৃষ্টি চলবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
অর্থাৎ আগামী তিন দিন শীতের সঙ্গে বৃষ্টি যে আবারও কাঁপিয়ে দিতে চলেছে উত্তর ভারতের এই অংশকে তা স্পষ্ট। আজ দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সকাল থেকে ০.৫ মিলিমিটার পূর্বাভাস মতো বৃষ্টিও হয়ে গিয়েছে। শ্রীনগরে তাপমাত্রা অনেকদিন বাদ হিমাঙ্কের উপরে এসেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, যা ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে বরফের বদলে বৃষ্টির দেখা মিলবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সকাল থেকে ইতিমধ্যেই ৩.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে বাংলায় শৈত্যপ্রবাহ কাটতেই অল্প বাড়ল শহর কলকাতার তাপমাত্রা। বুধবার পর্যন্ত যা এগারোর ঘরে ঘোরাফেরা করছিল , বৃহস্পতিবার তা উঠে এল প্রায় ১৩’ র কাছাকাছি। আর্দ্রতার পরিমান বেড়েছে। তাপমাত্রা বাড়তে পারে বেলার দিকেও। এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম।
বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। সকালের আর্দ্রতার পরিমান ৪৪ শতাংশ। বুধবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। সকালের আর্দ্রতার পরিমান ৩১ শতাংশ। তাই সকাল থেকে সারাক্ষন বজায় থাকছে শীতের দাপট ছিল। যেহেতু কলকাতা সংলগ্ন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় শৈত্যপ্রবাহ চলছিল তাই সেই প্রভাব পড়ছিল শহরের হাওয়ায়। ফল, দিনভর জাঁকিয়ে শীত।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.