ধারেভারে বিজেপি বাড়ছে, ফাঁকা হচ্ছে তৃণমূল
মুকুলের পর শুভেন্দু-রাজীব বিজেপির যোগদান করায় তৃণমূলের কোমর যে ভেঙে গিয়েছে, তা বলাই যায়। শুভেন্দু-রাজীবের হাত ধরে তৃণমূলের বাঘাবাঘা নেতারা আবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। ফলে ধারেভারে বিজেপি যেমন বাড়ছে, তেমনই ফাঁকা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই শূন্যস্থান পূরণ করা তৃণমূলের পক্ষে কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বিজেপিকে ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দিতে
শুভেন্দু-রাজীব জুটি যেভাবে লোকসভা ভোটে হারের পর তৃণমূলকে অন্ধকার থেক আলোয় ফিরিয়ে ছিল উপনির্বাচনে জিতে, সেভাবেই তাঁরা বিজেপির হয়ে কাজ করবেন। বিজেপিকে ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই জেলা সফর শুরু করে দিয়েছেন শুভেন্দু ও রাজীব।
শুভেন্দু-রাজীবের একসাথে পথ চলা শুরু বিজেপিতে
শুভেন্দু-রাজীবের পথ চলা শুরু হয়েছে ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে। সেটাই বিজেপিতে তাঁদের প্রথম একসঙ্গে জনসভা। তারপর অভিষেকের গড় বারুইপুরে যৌথ সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরুণ তুর্কি দুই নেতা এবার জুটি বেঁধে অন্য জেলাতেও সভা করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
একুশে বাংলায় পদ্ম ফোটানোই উদ্দেশ্য শুভেন্দু-রাজীবের
সেইমতো বুধবার তাঁরা সভা করবেন হুগলির গুড়াপে। এইভাবে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গেও তাঁরা চষে বেড়াবেন এবং তৃণমূলকে ধসিয়ে দেবেন বলে হুঙ্কার ছাড়েন। যদিও বিজেপিতে যোগদানের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তা সত্ত্বেও তাঁরা তৃণমূলকে ফাঁকা করতে সিদ্ধহস্ত থাকবেন বলে জানান শুভেন্দু ও রাজীব। একুশে বাংলায় পদ্ম ফোটানোই তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
বিজেপির পরের অভিযান ঠিক করে দিয়েছেন শুভেন্দু
শুভেন্দু বারুইপুরের মঞ্চ থেকেই বিজেপির পরের অভিযানের অকুস্থল ঠিক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বারুইপুরের পরে বিজেপির পরের অভিযানটা হবে কুলতলিতে। এভাবেই ভাইপোর গড় ফাঁকা হয়ে যাবে বলে তিনি হুঙ্কার ছাড়েন। বলেন, তৃণমূল করার লোক থাকবে না। একেই তো তৃণমূল এখন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গিয়েছে। দু-জন মিলে এই কোম্পানি চালাচ্ছে।
শুভেন্দু-রাজীবকে একসাথে কাজে লাগাতে সিদ্ধহস্ত বিজেপি
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, তিনি এবার জেলা সফরে বেরোবেন। প্রতিটা সফরে তিনি জানাবেন কেন তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এলেন। কী তাঁর উদ্দেশ্য। কেন বিজেপিকে রাজ্যে ক্ষমতায় আনা দরকার। বারুইপুরের সভার পর দিল্লিতে কোর কমিটির বৈঠকে যোগ দেন শুভেন্দু-রাজীব উভয়েই। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় শুভেন্দু-রাজীবকে কাজে লাগানো হবে একসঙ্গে।
মুকুলের পরামর্শ নিয়েই শুভেন্দু-রাজীব নয়া অভিযানে
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে যাঁকে দলে আনার জন্য মুখিয়ে ছিলেন, সেই শুভেন্দু অধিকারী তিনি এসে গিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর পথ ধরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো স্বচ্ছ ইমেজের নেতাও এসেছেন বিজেপিতে। মুকুল রায় তাই এবার নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু মুকুলের পরামর্শ নিয়েই শুভেন্দু-রাজীব এবার নয়া অভিযানে নামছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ত্রিফলা আক্রমণ বিজেপির
শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়ে আগে মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তারপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ডুমুরজলা সভা করেই গিয়েছিলেন মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁরা যে একত্রিত হয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাল ঠুকবেন, তা নিশ্চিত। সেই মতোই মুকুল-শুভেন্দু-রাজীব বঙ্গ অভিযানে নামছেন।