কেরল সফরে বিজেপি সভাপতি
সেই লক্ষ্যেই আজ থেকে দুই দিনের কেরল সফরে যাচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেখানে ভাডাক্কুনাথন মন্দির থেকে একটি জনসভাতেও ভাষণ রাখবেন নাড্ডা। সাম্প্রতিককালের নিরিখে এই জনসভা কেরলে বিজেপির সব থেকে বড় জনসভা হওয়ার কথা। এখান থেকেই সেরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে চায় গেরুয়া শিবির।
পর্যবেক্ষক নিয়োগ
এদিকে কেরলকে যে তারা হাল্কা ভাবে নিচ্ছে না, তার প্রমাণ মিলেছে বারংবার। সেরাজ্যের নির্বাচনী প্রচার দেখভাল করার জন্যে বিজেপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেছে বিজেপি। তাঁর ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অশ্বথ নারায়ণ। এই আবহে আজ কেরল যাচ্ছেন জেপি নাড্ডা। জানা গিয়েছে, সেখানে বিজেপির কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠকেও বসবেন নাড্ডা।
৩৫ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি বিজেপির
বিজেপির আত্মসমীক্ষায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের স্থানীয় নির্বাচনের নিরিখে ২০২০ সালে বিজেপির ভোট বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। স্থানীয় স্তরে তাদের নির্বাচিত সদস্য ১২০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭০০। কেরলেক রাজধানী, তিরুবনন্তপুরমের কর্পোরেশন নির্বাচনে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে বিজেপি উঠে এসেছে প্রধান বিরোধী হিসাবে। এমনকী কন্নুরের মতো বাম গড়েও দাঁত ফোটাতে সক্ষম হয়েছে গেরুয়া শিবির।
বামকে কড়া টক্কর বিজেপির
বিজেপি সদ্য সমাপ্ত হওয়া স্থানীয় নির্বাচনে মোট ১৬৩৫টি আসনে জিতেছে। এদিকে ২৮০০টি আসনে তারা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। এর মধ্যে ১২০০টি আসনে খুব কম ব্যবধানে তারা বাম জোটের কাছে হেরেছে। তিরুবনন্তপুরম ছাড়াও পালাক্কড়, পাণ্ডালাম, থালাসারি, চেঙ্গান্নুরের মতো স্থানে বিজেপি কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে কড়া টক্কর দিতে সমর্থ হয়েছে সিপিএমকে।
কোন ইস্যুকে সামনে রেখে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি?
এদিকে কেরলের বহু খ্রিস্টান এবং মুসলিম ভোটাররাও বিজেপিকে সমর্থন করছে কেরলে। পিনারাই বিজয়ন সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা সোনা পাচারের অভিযোগ নিয়ে তারা তিতি বিরক্ত। এর জেরেই তারা ঝুঁকেছে বিজেপির দিকে। তাই বিজেপি কেরলে ধর্মীয় মেরকরণের কারডকে পিছনের সারিতে পাঠিয়ে মূলত দুর্নীতি এবং অনিয়ম ইস্যু ব্যবহার করেই ঘুঁটি সাজাতে চাইছে। এবং এই ঘুঁটি সাজানোর কাজেই থাকবেন প্রহ্লাদ যোশী।