নির্বাচনের আগে সিএএ-এনআরসি কাঁটা
এই আবহে চলতি বছরে অসম এবং বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। উল্লেখ্য, দুই রাজ্যকেই পাখির চোখ করছে বিজেপি। তবে এই দুই রাজ্যেপ প্রেক্ষিতে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি ভোটারদের মধ্যে। অসমে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে বিরোধিতায় আগুন জ্বলেছিল এক বছর আগেই। এদিকে বাংলার নিরিখে মতুয়ারা চাইছেন যে সিএএ লাগু হোক। এই মতুয়া ভোটের উপর নির্ভর করেই বিজেপি জিততে চাইছে বাংলার নির্বাচন। তবে দুই রাজ্যকেই হাতে রাখতে আপাতত ধীরে চলার নীতি নিয়েছে বিজেপি।
সিএএ নিয়ে টালবাহানা
এদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করতে এবং তা প্রয়োগ করতে চলতি বছরের ৯ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করল কেন্দ্রীয় সরকার৷ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শীতকালীন অধিবেশনে এই আইন পাস করায় কেন্দ্র৷ তার পর থেকে দেশের বিভিন্ন অংশে এই আইন নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে৷ সংসদও উত্তাল হয়েছে এই নিয়ে৷ কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই আইন বলবৎ করতে পারেনি কেন্দ্রের মোদি সরকার৷
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন 'প্রস্তুত করার কাজ চলছে'
এখন সংসদে বাজেট অধিবেশন চলছে৷ মঙ্গলবার অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় কংগ্রেসর সাংসদ ভিকে শ্রীকন্ডন সরকারের কাছে বিষয়টি জানতে চান৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এরই উত্তরে জানানো হয়েছে যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন 'প্রস্তুত করার কাজ চলছে৷' ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে এই আইন লাগু হয়েছে৷ এর আগে এই আইন প্রস্তুত করার কাজ ৯ এপ্রিল, ২০২১-এর মধ্যে শেষ করার কথা বলা হয়েছিল৷ কিন্তু এবার তা বাড়িয়ে ৯ জুলাই, ২০২১ করা হয়েছে৷ এই সংক্রান্ত অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটি৷
করোনা সংক্রান্ত সমস্যার জেরে কাজে ব্যাঘাত
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ নিয়ে গত ডিসেম্বরেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ তিনি জানিয়েছিলেন যে এই আইন প্রস্তুত করা হচ্ছে৷ করোনা সংক্রান্ত সমস্যার জেরে এই কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে৷ টিকাকরণের কাজ শুরু হলেই আবার আইন প্রস্তুতির কাজ শুরু হবে৷
তিনবারের বেশি সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করা যাবে না
উল্লেখ্য, সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিল পাস হলে তার ৬ মাসের মধ্যে তা প্রস্তুত করে ফেলতে হয়৷ তবে প্রয়োজনে সরকারের তরফে এই বিষয়ে সময়সীমা বাড়াতে সংসদের সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে চাওয়া যেতে পারে৷ কিন্তু তিনবারের বেশি সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করা যাবে না৷