স্টাফ রিপোর্টার , হাওড়া : নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নিতে আর বেশি দেরী নেই। তার আগে বড়সড় রদবদল ঘটল হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশে বড়সড় রদবদল ঘটল।
সম্প্রতি হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এসপির তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকায় দেখা যাচ্ছে, আমতার ওসি কিঙ্কর মন্ডলকে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি পদে বদলি করা হয়েছে। আমতার ওসি হয়ে রাজাপুর থানা থেকে আসছেন সৌমেন গঙ্গোপাধ্যায়। জয়পুরের ওসি তাপস নস্করকে বাগনান থানায় বদলি করা হয়েছে। জয়পুরের নতুন ওসি হচ্ছেন অভিষেক রায়। অভিষেক বাবু উলুবেড়িয়া থানায় কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
উলুবেড়িয়া মহিলা থানার ওসি হচ্ছেন পিঙ্কি চক্রবর্তী। তিনি ডিআইবিতে ছিলেন। বাউরিয়ার নতুন ওসি হচ্ছেন ওই থানারই সুমন্ত দাস। পেঁড়ো আউটপোস্ট ও গড়চুমুকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে পিয়ালী ঘোষ ও মফিজুল আলমকে। অন্যদিকে, ওসি ওয়াচ, ডিআইবি ও ওসি ট্রেনিং(ট্রাফিক) এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ, কৌস্তভ কর্মকার ও নিশিকান্ত নস্করকে। পাশাপাশি, অমিতাভ সর্দারকে উলুবেড়িয়া কোর্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বদলি কয়েকদিনের মধ্যেই কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিজেপির পালটা সভা করছে তৃণমূল এবং তাও সেই একই স্থানে। সেই ডুমুরজলা অঞ্চলে যেখানে বিজেপি যোগদান মেলা নামক সভা করে এবং সেই মঞ্চ থেকেই গেরুয়া বসনে সামনে আসেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, রথিন চক্রবর্তীরা। এবার সেই সভার পালটা সভা আয়োজনে বিজেপিকে বিশাল জনসমাগমে জবাব দিতে তৈরি হাওড়ার তৃণমূল সংগঠন।
মঙ্গলবার মাঠ ডুমুরজলা পরিদর্শনে আসেন অরূপ রায়। সেখানেই তিনি বলেন , ‘আমাদের আগেরবারের এই অঞ্চলের সভায় টার্গেট ছিল ৩০ হাজার। দেখেছিলাম ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল সংখ্যা। এবার আমাদের লক্ষ্য ৪০হাজার। আমার মনে হয় এবারও তা পেরিয়ে যাবে।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিজেপিকে কোনও দল বলেই মনে করি না। গোটা পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে লোক তুলে এনে পাঁচ হাজার লোকও হয়নি যাদের সভায়, তাদেরকে পালটা জবাব কি দেব। যারা দল ছেড়ে গিয়েছে তাদের অনেক চাহিদা আছে। যেখানে সেই আলাদা চাহিদা পাবে বলে মনে হয়েছে সেখানে গিয়েছে। এবার দাঁড়াক তাদের হয় ভোটে। কত ভোটে হারাই দেখে নেবে বাংলার মানুষ।’
প্রসঙ্গত এর মধ্যেই আবার অন্য বিজেপি আবারও বড় কর্মসূচী গ্রহন করেছে। অমিত শাহের বাংলায় আসতে না পারার ‘শখ’ এবারে তারা মিটিয়ে নিতে চাইছে ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলায় পরিবর্তন রথযাত্রার সূচনা করে। আয়োজনে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে রথযাত্রার সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লিতে কোর কমিটির বৈঠক শেষে মঙ্গলবার একথা জানালেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়৷ ভোটের আগে রথযাত্রা করে বাংলার প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি। যদিও রথযাত্রা নয়, বরং এই কর্মসূচিকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’ নাম দিয়েছেন অমিত শাহরা। ইতিমধ্যে সেই কর্মসূচি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.