করোনার উৎস রহস্যে নয়া মোড়! উহানে পৌঁছেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হু-র গবেষকদের হাতে

ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে করোনা টিকাকরণ চালু হলেও এহেন মারণ ব্যাধির আসল উৎপত্তিস্থল সম্বন্ধে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সূত্রের খবর, চিনে হু-এর বিশেষ গবেষকদল পৌঁছালেও ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইন ও আইনি জটিলতার ফাঁস পেরিয়ে উহানে পৌঁছে তাঁদের কাজ শুরু করতে সময় লাগল বেশ খানিকটা! জানা গেছে, গবেষণার প্রথম ধাপ হিসেবে বুধবার উহানের একটি গবেষণাগার পর্যবেক্ষণ করবেন তাঁরা। যদিও হু-এর এহেন অভিযানের সঙ্গে যে জিনপিং সরকার সহ আন্তর্জাতিক শক্তিধর দেশগুলির কূটনৈতিক পরিকল্পনা ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তা বলাই বাহুল্য।

করোনা বিতর্কে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি

সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞ দল সর্বপ্রথম পরিদর্শন করবেন উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি। জিনপিং সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের তত্ত্বাবধানেই চলে এই গবেষণাগার। বিএসএল-৪ নিরাপত্তাযুক্ত এই গবেষণাগার থেকে প্রথম করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা গবেষকদের।২০০২-০৩ সালে এসএআরএস ভাইরাসের সংক্রমণের সময়েই তৈরি হয় এই গবেষণাগার। জানা গেছে, চিনে বাদুর মানবী' বলে খ্যাত শি ঝেঙলি উহানের ওই গবেষণাগারের প্রধান গবেষক ছিলেন।

করোনার বাহক হিসেবে এখনও সন্দেহ বাদুড়কেই

এসএআরএস, ইবোলা, র‍্যাবিস, এমইআরএস-এর মত রোগের বাহকও এই বাদুর, করোনাবিদরা জানাচ্ছেন এমনটাই। ফলত এহেন মারণ ভাইরাসগুলির সম্পর্কে আরও জানতে উহানের এই গবেষণাগারগুলির কাজ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদিও চিনের বিরুদ্ধে রোগ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে চিনের ভাইরাসবিরোধী অভিযানকে পিছিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসন, মত চৈনিক আধিকারিকদের। অন্যদিকে গত মার্চে অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার গবেষকরা উহানের ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগকে 'অমূলক' বলে আখ্যা দেন। এদিকে সম্প্রতি চিনে হু-এর গবেষকদলের সদস্য পিটার ড্যাসজ্যাকও করোনাকে 'মানবসৃষ্ট' বলে মেনে নিতে চাননি।

ভবিষ্যৎ সংক্রমণ সম্পর্কে গবেষণা উহানের ল্যাবে

ইতিপূর্বে শি ঝেঙলির সঙ্গে কাজ করেছেন আরও এক ভাইরাসবিদ ড্যাসজ্যাক। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁর দাবি, "পরবর্তী এসএআরএস সংক্রমণ সম্পর্কে গবেষণা করছিল ঝেঙলির ল্যাব। ওরা বেশ খানিকটা অগ্রসর হলেও সম্পূর্ণ সফল হয়নি বলেই জানি।" যদিও এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বেজিং থেকে যথেষ্ট সাহায্য পাবে না হু। অন্যদিকে শি-র থেকে সহযোগিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী ড্যাসজ্যাক। তাঁর মতে, "এখন মনে হচ্ছে আরও একবছর আগে উহানে এলে ভাল হত।" গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজে বের করে আনতে বেশ সময় লাগবে বলেই মত ড্যাসজ্যাকের।

উহানের সামুদ্রিক পণ্যের বাজার পরিদর্শনে বিশেষজ্ঞদল

রবিবার উহানের 'কুখ্যাত' সামুদ্রিক খাবারের বাজার পরিদর্শন করলেন হু-বিশেষজ্ঞরা। বাজারটি সম্পূর্ণ বন্ধ ও জীবাণুমুক্ত থাকলেও উহানের সামুদ্রিক বাজার থেকে করোনার নমুনা খুঁজে পেতে আশাবাদী হু গবেষক দলের প্রধান পিটার বেন এমবারেক। এদিকে বাজার পরিদর্শনকে এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন গবেষকদলের সদস্য অধ্যাপক থি ফিশার। স্বাভাবিকভাবেই গোটা বিশ্ববাসীর নজর যে হু-এর বিশেষ দলের উপর, তা বেশ আঁচ করছে হু। তবে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাফ 'না' করেছেন হু-এর বিশেষজ্ঞরা।

সোনার দাম ৩ ফেব্রুয়ারি কোথায় পৌঁছল! কলকাতা সহ নামী শহরে বুধবারের দর একনজরে

More WORLD HEALTH ORGANIZATION News