এবার বটগাছও নড়বে, সমুদ্র উথাল-পাথাল হবে! সরকারের 'দুর্নীতি' নিয়ে মমতাকে নিশানা রাজীবের

রাজ্যে একাধিক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। উপযুক্তরা চাকরি পাননি। এদিন গুড়াপের সভা থেকে কার্যত এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপি (bjp) নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (rajib banerjee)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, এবার বটগাছও নড়বে, সমুদ্র উথাল-পাথাল হবে।

চুক্তি-ভিত্তিক চাকরির নিয়োগে দুর্নীতি

তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে প্রায় পাঁচলক্ষ স্থায়ী পদ তুলে দিয়ে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর পর বিজেপিতে যোগ দিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই অভিযোগ করেছিলেন। এদিন তিনি আরও যে অভিযোগটি করলেন, তা বিস্ফোরক। এদিন গুড়াপের সভা থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, রাজ্যের সব দফতরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। এব্যাপারে তিনি যে দফতরগুলি সামলে এসেছেন, সেই দফতরগুলির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের তালিকা কোথা থেকে এসেছে, কারা সুপারিশ করেছে, সবের তদন্ত করান মুখ্যমন্ত্রী। কাগজ দিয়ে দেবেন তিনি।

এবার বটগাছও নড়বে, সমুদ্র উথাল-পাথাল হবে

এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবার বটগাছও নড়বে, সমুদ্র উথাল-পাথাল হবে। দিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলত্যাগ সমুদ্র থেকে একঘটি জল তুলে নেওয়ার মতো। বিষয়টিকে বটগাছের ঝড়া পাতার সঙ্গেও তুলনা করেছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মঙ্গলবার বারুইপুরে সভায় যাওয়ার পথে তাঁকে ও শুভেন্দু অধিকারীকে কালো পতাকা দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ঝড়া পাতা নিয়ে এত চিন্তু কিসের। এদিন তিনি নিয়োগ দুর্নীতির কথা ফাঁস করে বলেন, এবার বটগাছও নড়বে, সমুদ্র উথাল-পাথাল হবে।

বনসহায়কের নিয়োগ নিয়ে মমতার অভিযোগের জবাব

প্রাক্তন বনমন্ত্রী এদিন বনসহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের জবাব দেন। প্রসঙ্গত এদিন দুপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ারে সভা করেন। সেই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তিনি বনসহায়কের পদে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ করেন। এরপর গুড়াপের সভায় পৌঁছে জবাব দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন বীরভূমের শীর্ষ নেতা সব নিয়োগ তাঁকে দিয়ে করানোর দাবি তুলেছিলেন। তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানোয়, তিনি (মমতা) বলেছিলেন, পদগুলিতে সব জেলার তৃণমূলের লোকদের নিয়োগ করতে। এরপরেই তিনি অভিযোগ করেন, কোন নেতা, কোন বিধায়ক তাঁকে এই নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিলেন তার প্রমাণ রয়েছে তাঁর(রাজীব) কাছে। এমন কী কালীঘাট থেকেও নিয়োগের সুপারিশ এসেছিল বলে দাবি করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী যে জেলায় গিয়ে সভা করছেন, সেই জেলার জেলা সভাপতি (আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল জেলা সভাপতি) তাঁর (রাজীব) কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এব্যাপারে তিনি বনসহায়ক পদে নিয়োগের প্যানেল বাতিলের দাবিও তুলেছেন।

যাঁরা কাজ করছে, তাঁরা পিছনের সারিতে

এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব উসকে দিতে চাইলেন। তিনি এদিন আবার অভিযোগ করেন, তৃণমূলে যাঁরা কাজ করে, তাঁরা পিছনের সারিতে।য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতেই তাঁর আনন্দ। তিনি তাই করে যাবেন।

বনসহায়কের নিয়োগ নিয়ে বিস্ফোরক! কোন নেতা, কোথা থেকে সুপারিশ, মমতাকে পাল্টা দিলেন রাজীব

More BJP News