নয়াদিল্লি : বিভিন্ন প্রয়োজনে টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করেন ? তবে সাবধান হয়ে যান। কারণ এই ধরণের ফোন কলে খালি হয়ে যেতে পারে আপনার সাধের অ্যাকাউন্ট। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এমনই তথ্য জারি করেছে। নিজেদের টোল ফ্রি নম্বর সম্পর্কেও এই সাবধানবাণী জারি করেছে স্টেট ব্যাংক। নিজেদের গ্রাহকদের এই বিষয়ে সতর্ক করে ব্যাংক জানিয়েছে সাবধান থাকুন। হ্যাকাররা বিভিন্ন টোল ফ্রি নম্বরের মত দেখতে নম্বর ব্যাবহার করছে।

এই ধরণের কোনও ফোনকলে উৎসাহ না দেখাতে নির্দেশিকা জারি করেছে স্টেট ব্যাংক। এসবিআই জানাচ্ছে ফোনের মাধ্যম কাউকে নিজের ব্যাংক ডিটেলস যেন না জানানো হয়। এমনই ঘটনা সামনে এনেছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াও। টোল ফ্রি নম্বর ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা হাতানোর ঘটনা সামনে এসেছে। একটি নোটিশ জারি করে আরবিআই জানিয়েছে প্রতারকরা এখন টোল ফ্রি নম্বর ব্যবহার করেছে, যাতে এই ফাঁদে খুব সহজেই পড়েন আম আদমি। বিভিন্ন ব্যাংকের টোল ফ্রি নম্বরের মত দেখতে একটি বিশেষ নম্বর দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে।

এই ধরণের নম্বর থেকে ফোন গেলে বুঝতে পারছেন না গ্রাহকরা। ফলে ফাঁদে পা দিচ্ছেন তাঁরা খুব সহজেই। তৈরি করা হচ্ছে ভুয়ো প্রোফাইল, যাতে এই সব প্রতারণা সহজে ধরা না পড়ে। নোটিশে জানানো হয়েছে, ব্যাঙ্কের টোল-ফ্রি নম্বর হিসেবে যে সুপারভাইজড এনটিটি’র। এখন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে, ৮০০-৫২৫-৯৮৯ নম্বরের সিম জোগাড় করে তা ট্রু-কলার বা অন্য কোনও কলার আইডেন্টিফিকেশন নম্বরে ‘ক ব্যাঙ্কের হেল্পলাইন নম্বর বা এসই নম্বর নামে সহজেই সেভ করিয়ে নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা।

এখন কোনও ভাবে গ্রাহক সেই নম্বর ট্রু-কলার বা ওই জাতীয় অ্যাপ থেকে জেনে সেই নম্বরে ফোন করলে বা সরাসরি গ্রাহককে ওই ব্যাঙ্কের কর্মী পরিচয় দিয়ে ফোন করে অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত গোপন তথ্য, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড নম্বর, সিভিভি, নেটব্যাঙ্কিং-এর ইউজারনেম, ওটিপি ইত্যাদি হাতিয়ে নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। যা দিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে গ্রাহকদের অজান্তেই।

কীভাবে চলছে প্রতারণা :

১. মনে করা যাক এক্স ব্যাংকের টোল ফ্রি নম্বর 1800-456-4567। প্রতারকরা সেখান থেকে 800-456-4567 নম্বরটি তৈরি করে নিয়ে ফোন করছে। গ্রাহকরা দেখে ভাবছেন ব্যাংক থেকে ফোন করা হচ্ছে।

২. যখনই এই ফোন নম্বরে গ্রাহকরা কথা বলছেন, তখন প্রতারকরা ওই ব্যাংকের হয়ে অত্যন্ত পেশাদার ভঙ্গিতে কথা বলছেন। বেশ কিছু তথ্য তাঁরা এই ভাবে সংগ্রহ করছেন গ্রাহকদের থেকে। ব্যাংক ডিটেলস, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের ডিটেলস, সিভিভি, ওটিপি ইত্যাদি তথ্য পেয়েই শুরু হচ্ছে অ্যাকাউন্টের ওপর সাইবার হামলা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।