কলকাতা : মিড ডে মিল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মিলের জন্য যে পরিমান খাদ্য আগে বরাদ্দ ছিল সেই খাবার এবার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে এ নিয়ে। সেখানেই বরাদ্দ খাবার বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে জানানো হয়েছে। অনেকেই বলছেন সামনেই ভোট। একে মাথায় রেখেই স্বাস্থসাথী, দুয়ারে সরকারের মতোই সরকারের ছোট্ট একটা সংযোজন এই আপডেটেড মিড ডে মিল।

নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে প্রতি মাসে মিড ডে মিলে ডাল, সোয়াবিন ও চিনিও দেওয়া হবে। এই অতিরিক্ত খাবারগুলি আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসে দেওয়া হবে। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও যাতে শিশুদের পুষ্টির যাতে অভাব না হয় তা নিশ্চিত করতে মিড ডে মিলের খাবার হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য সরকার। লকডাউনের মধ্যে শিশুদের অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে প্রতি মাসে মিডডেমিল সংগ্রহ করছিলেন।

প্রত্যেক মাসে মিড ডে মিল প্রাপক শিশুদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল ২ কেজি চাল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি আলু ও ১০ টাকার একটি সাবান। এদিনের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রতি মাসে ২৫০ গ্রাম ডাল, ২০০ গ্রাম সোয়াবিন ও ৫০০ গ্রাম চিনিও দেওয়া হবে। তবে এই সুবিধা কেবলমাত্র মার্চ ও এপ্রিল মাসেই পাওয়া যাব।

প্রসঙ্গত , করোনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল। অনলাইন ক্লাস চললেও সরকারি স্কুলের মিড-ডে প্রকল্প বন্ধই পড়ে রয়েছে। বদলে চাল-ডালের মতো খাদ্যশস্য পৌঁছে যাচ্ছে পড়ুয়াদের বাড়িতে। আর এই ব্যবস্থা চালু হওয়াতেই আশঙ্কায় ভুগছিলেন মিড-ডে মিলের কর্মীরা। ভাবছিলেন, তাঁদের ভাতা বন্ধ যেতে পারে। মিড-ডে মিল বাড়ানোর পাশাপাশি আগেই মিড ডে মিল কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণাও করেছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।

প্রায় একবছর স্কুল বন্ধ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে আসছে না। বন্ধ মিড ডে মিলের রান্না। তবে রাজ্য সরকার চাল-ডালের মত খাদ্যশস্য ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুল থেকে বিলি করছে। অতিমারীতে খাবার রান্না না হওয়ায় তাঁদের ভাতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কায় ছিলেন মিড-ডে-মিল কর্মীরা। স্কুল শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, কারও ভাতা বন্ধ হবে না। বরং আগে মিড-ডে-মিল কর্মীদের ১০ মাসের ভাতা দেওয়া হত। তা বাড়িয়ে এবার ১২ মাস ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।