পানাজি: লিগ টেবিলে একেবারে শেষে অবস্থান করছে দল। ১৪ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়। দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের জেরে আতস কাঁচের নীচেই ছিলেন দলের কোচ স্টুয়ার্ট বাক্সটার। তার উপর সোমবার ম্যাচ হেরে রেফারিং নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বসলেন ইংরেজ কোচ। তড়িঘড়ি দলের হেড কোচ স্টুয়ার্ট বাক্সটারকে মঙ্গলবার বরখাস্ত করল ওডিশা এফসি।

দলের কোনও ফুটবলারকে ধর্ষিত হতে হবে তবেই নাকি রেফারি তাঁর দলকে পেনাল্টি দিতে পারেন, নইলে নয়। সোমবার জামশেদপুর ম্যাচের পর এমনই অগণতান্ত্রিক মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন বাক্সটার। আর এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বরখাস্ত হতে হল ইংরেজ কোচকে।

এদিন এক বিবৃতি জারি করে কোচের অশালীন মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। উল্লেখ্য, সোমবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষদিকে দিয়েগো মৌরিসিওকে নিজেদের বক্সে ট্রিপ করে ফেলে দেন জামশেদপুর গোলরক্ষক টিপি রেহনেশ। ঘটনায় পেনাল্টির জোরালো আবেদন ওঠে। কিন্তু ওডিশার আবেদনে কর্ণপাত করেননি রেফারি। ওডিশার অনুকূলে রেফারি সিদ্ধান্ত দিলে নিঃসন্দেহে খেলার ফল অন্য হত। আর তাই ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে রেফারিং নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে চরম অশালীন সুর শোনা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা ফুটবল দলের প্রাক্তন কোচের গলায়।

সাংবাদিক সম্মেলনে বাক্সটার বলেন, ‘ম্যাচে ফয়াফল পেতে গেলে রেফারির সিদ্ধান্ত পক্ষে আসা খুব জরুরি। কিন্তু আমরা সেটা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি বারবার। আমি জানি না কবে আমরা আর পেনাল্টি পাব। পেনাল্টি পেতে গেলে আমাদের কোনও প্লেয়ারকে ধর্ষণ করতে হবে অথবা ধর্ষিত হতে হবে।’ বাক্সটারের এমন মন্তব্যের অনতিপরেই এক বিবৃতি জারি করে ক্ষমা চেয়ে নেয় ওডিশা এফসি। ক্লাবের তরফ থেকে জানানো হয়, কোচের এমন মন্তব্যকে ক্লাব সমর্থন করে না। একইসঙ্গে ৬৭ বছর বয়সী কোচের মন্তব্য ক্লাবের কাছে কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানানো হয়।

বাক্সটারকে ওডিশা ছেঁটে ফেলায় এই নিয়ে লিগের মাঝপথে তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের কোচকে বরখাস্ত করল। এর আগে বেঙ্গালুরু এফসি এবং নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড তাদের কোচকে বরখাস্ত করেছিল খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে। উল্লেখ্য, ১৪ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি জয় এবং ৮টি হার সহযোগে ওডিশা আপাতত লিগ টেবিলে সবার শেষে অর্থাৎ ১১ নম্বরে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।