নিউইয়র্ক : স্পেস এক্স এবার মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চলেছে। সম্প্রতি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি বলে ঘোষিত হয়েছে সংস্থার মালিক এলন মাস্ক। সংস্থাটি এই ঘোষণা করেছে সোমবার। জানা গিয়েছে চারটি প্রাইভেট ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে এই সংস্থা তাঁদের মহাকাশযাত্রীদের পাঠাবে। এগুলি মহাকাশে গিয়ে পৃথিবীর নিজ কক্ষপথের চারিদিকে ঘুরবে। এটিই প্রথম মহাকাশ অভিযান হতে চলেছে যেটি কোনও মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে ছাড়া হচ্ছে না। এই মহাকাশ যাত্রায় যারা যাবেন তাঁদের বেশিতভাগই হবেন সাধারণ মানুষ। তাই এই যাত্রার নাম রাখা হয়েছে ‘দ্য ওয়ার্ল্ডস ফার্স্ট অল সিভিলিয়ান মিশন’। জানা গিয়েছে নতুন বছরের শেষের দিকে এই যাত্রা শুরু হবে।
সংস্থার এই স্পেস এয়ারক্র্যাফট যাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন শিফট ফর পমেন্টের কর্ণধার ও সিইও জেয়ার্ড আইস্যাকম্যান। তিনি অবশ্য নিজে একজন প্রশিক্ষিত পাইলট। এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্সপিরেশন ৪’ উদ্দেশ্য, সেন্ট জুড চিলড্রেন রিসার্চ হাসপাতালের জন্য সমর্থন সংগ্রহ করা। জানা গিয়েছে, আইস্যাকম্যান নিজে একটি ক্যাপসুলে থাকবেন। বাকি তিনটে ক্যাপসুলের জন্য খরচ বহন করবেন আইস্যাক নিজেই। ওই বাকি তিনজনকে সাধারণ মানুষদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। ওই তিন জন কারা হতে চলেছে চলত সপ্তাহেই জানা যাবে বলে খবর।
‘ইন্সপিরেশন ৪’ যাত্রীদের প্রত্যেককে কমার্শিয়াল অ্যাস্ট্রোনট ট্রেনিং দেওয়া হবে। এই ট্রেনিংটি হবে ‘ফ্যালকন ৯ লঞ্চ ভেহিকল’ ও ‘ড্রাগন স্পেসক্রাফট’-এ। শেখানো হবে অরবাইটাল মেকানিক এবং মাইক্রোগ্র্যাভিটি ও জিরো গ্র্যাভিটিকে কীভাবে পরিচালনা করতে হয় সেই কাজ। কীভাবে মহাকাশে গিয়ে নানারকম কাজকর্ম করতে হয় এবং নিজের উপর কীভাবে নিয়ন্ত্রন রাখতে হয় সেই শিক্ষাও দেওয়া হবে। স্পেসস্যুট পড়া, এয়ার ক্রাফটের ব্যাবহার শেখানো হবে। জানা গিয়ে এই মহাকাশজানটি পৃথিবীতে ফিরে এসে নামবে ফ্লোরিডার উপকূলবর্তী কোনও একটি অঞ্চলে।
প্রসঙ্গত এই মহাকাশ যাত্রা যে সংস্থা করছে তার প্রধান এই মুহূর্তে বিশ্বের ধণীতম ব্যক্তি। এলন মাস্ক মোট সম্পত্তির নিরিখে অ্যামাজনের জেফ বেজোসকে পিছনে ফেলে দিয়ে তালিকায় শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছেন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই। ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষ স্থান জেফ বেজোসের দখলে ছিল। তাকে পিছনে ফেলেই এখন শীর্ষে স্পেস এক্স এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থা টেলসার মালিক এলন মাস্ক।
ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে এলন মাস্কের মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৮৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি জেফ বেজোসের সম্পত্তির তুলনায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি। এভাবেই বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হয়ে ওঠেন মাস্ক। মাত্র ১২ মাসে বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় এলন মাস্কের এই উত্থানে সকলের তাক লাগিয়ে গিয়েছে। গত মাত্র এক বছরে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫০ বিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। এত দ্রুত এই হারে সম্পত্তি বৃদ্ধি বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.