তৃণমূলকে জেতাতে একা কুম্ভ হয়ে লড়ার পণ মমতার
বড়জোর আর দু-মাস বাকি বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের। এবার এই একুশের ভোটকে নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি নেমেছে সম্মুখ সমরে। শুভেন্দু-রাজীবসহ তৃণমূলের একাংশ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই অবস্থায় তৃণমূলকে জেতাতে একা কুম্ভ হয়ে লড়ার পণ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একুশে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্ট্র্যাটেজি মমতার
আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে এই লড়াইয়ে সর্বাপেক্ষা জোর দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের আগে জেলা সফরে বেরোলেই কোথাও না কোথাও সারপ্রাইজ ভিজিট করছেন। কিছুদিন আগে বীরভূমের বল্লভপুরে মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী পরিবারে গিয়ে রান্না করেছিলেন। এবার তিনি উত্তরবঙ্গে সফরে একাধিকবার এ ধরনের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্ট্র্যাটেজি নিলেন।
আদিবাসী নৃত্যে পা মেলান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে আলিপুরদুয়ারে একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নবদম্পতির হাতে তুলে দেন উপহার। সবাইকে আশীর্বাদ করেন। এবং বিবাহ শেষে আদিবাসী নৃত্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও পা মেলান। মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদের সঙ্গে মিশে যান নিজের মতো করে।
রাজবংশী পরিবারের বিয়েতে ঢুকে পড়েন মমতা
এরপর গাড়ি থামিয়ে রাজবংশী পরিবারের বিয়েবাড়িতেও ঢুকে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেলফি তোলার আবদার করেন বিয়েবাড়িতে যোগ দেওয়া মানুষেরা। তাঁদের সেই আবদারও মেটান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নবদম্পতিকে তিনি আশীর্বাদও করেন।
হাসিমারা গুরুদুয়ারায় প্রার্থনায় হাজির মুখ্যমন্ত্রী
রাজবংশী পরিবারের বিয়েবাড়িতে যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ করেই ঢুকে পড়েন হাসিমারা গুরুদুয়ারায়। সেখানে গিয়ে প্রার্থনায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। জো বলে সো নিহাল স্লোগানও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর খাবারও খান গুরুদুয়ারায়। সকলের সঙ্গে কথা বলেন। এভাবেই তিনি জনসংযোগে মেতে ওঠেন।
মুখ্যমন্ত্রী হয়েও মানুষের মাঝে হাজির মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বলে এসেছেন মানুষ তাঁর সঙ্গে আছে। তিনিও সবসময়ই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও প্রোটোকল ভেঙে তিনি চলে যাচ্ছেন এখানে-সেখানে। মানুষের সঙ্গে মিশছেন, তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন। কোনও সমস্যায় তিনি থাকবেন বলেও জানিয়ে দেন। সবাই মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়ে অভিভূত এদিন।