ফালাকাটা: বিধানসভা ভোটের মমতাময়ী মমতা৷ চা সুন্দরী প্রকল্পে (Tea Sundari Project)গৃহহীন শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা৷ উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ফের জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

অন্যদিকে বিজেপি সরকার এবারের বাজেটে চা শিল্পে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অসম (Union Budget 21-22 speaks for welfare of tea workers in Assam) ও পশ্চিমবঙ্গে চা শ্রমিক কল্যাণে এদিন ১ (এক) হাজার কোটি টাকা (Govt proposes ₹ 1,000 crores for Tea Garden Workers) বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

উত্তরবঙ্গ মানেই চা বাগান। পাহাড়ের গায়ে সবুজ গালিচা। কিন্তু, ভোটের আগে, রাজনীতির আঙিনায় উঠে এসেছে এই চা বাগান।শাসক-বিরোধী সকলেরই নজর চা শ্রমিকদের ভোটবাক্সের দিকে।

মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার চা শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, চা সুন্দরী প্রকল্পে যাঁদের ঘরবাড়ি নেই, তাঁদের জন্য বাড়ি দেওয়া হবে। এই খাতে বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা। ৩ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হব। ৬৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে চা বাগানের মাইনে ২০২ টাকা করেছি। বন্ধ চা বাগানগুলিও খোলার চেষ্টা করব।

একুশের বাজেটে ভোটমুখী বাংলার জন্য একটু বেশিই দরাজ হয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ, চা বাগান, রেলের ফ্রেট করিডরের মতো একাধিক প্রকল্পে ঢালাও বরাদ্দের ঘোষণা রয়েছে বাজেটে। চা শিল্পে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অসম (Union Budget 21-22 speaks for welfare of tea workers in Assam) ও পশ্চিমবঙ্গে চা শ্রমিক কল্যাণে এদিন ১ হাজার কোটি টাকা (Govt proposes ₹ 1,000 crores for Tea Garden Workers) বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, এই আর্থিক বরাদ্দের মাধ্যমে বিশেষ উপকৃত হবেন বাংলা ও অসমের চা শ্রমিকরা।

গত লোকসভা ভোটে রাজ্যের চা বলয়ে একচেটিয়া জয় পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। জন বারলা থেকে শুরু করে জয়ন্ত রায়, চা শ্রমিকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তার জেরে জয়ী হয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনেও বাংলার চা বলয়ের ভোট ধরে রাখতে কেন্দ্রের এই মাস্টার স্ট্রোক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ভোটের আগে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বাংলার সাতটি চা বাগান অধিগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে তা কার্যকর না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই চা শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। সীতারমণের এই বাজেট প্রস্তাব চা-শ্রমিকদের সেই ক্ষোভ প্রশমিত করতে পারে কিনা, সেটাই দেখার৷

এদিকে, চা বলয়ে হারিয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শাসকদল। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আলিপুরদুয়ারের আটটি চা বাগান খোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এছাড়াও রাজ্য সরকার চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়িয়েছে। শ্রমিকরা দৈনিক মজুরিতে অন্তর্বর্তীকালীন ১৫ শতাংশ হারে অতিরিক্ত টাকা পাবেন।

শুধু শ্রমিকরাই নন, ওই একই সুবিধের আওতায় আসবেন চা-বাগানের সাব স্টাফ থেকে শুরু করে বাবু অর্থাৎ স্টাফরাও। ফলে এক লাফে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭৬ টাকা থেকে ২৬ টাকা বেড়ে দাঁড়াবে ২০২ টাকায়।

রাজ্য শ্রম দফতরের ওই নয়া পদক্ষেপের জেরে উপকৃত হবেন পাহাড়-তরাই-ডুয়ার্সের প্রায় সাড়ে চার লক্ষাধিক চা শ্রমিক। সঙ্গে লাভবান হবেন চা বাগানগুলির দশ হাজারেরও বেশি স্টাফ ও সাব স্টাফরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।