নয়াদিল্লি: কৃষি আইন নিয়ে আজ ফের উত্তপ্ত হতে পারে সংসদ। কেন্দ্রের নয়া আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় সাসপেনশন অফ বিজনেস নোটিস দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ও ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবা। নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কেন্দ্র-বিরোধী সুর আরও চড়া হচ্ছে। মঙ্গলবার সংসদ ফের একবার উত্তপ্ত হতে পারে কৃষি আইন ইস্যুতে। আগেভাগেই তার আঁচ মিলল।

এদিন কেন্দ্রের নয়া আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় সাসপেনশন অফ বিজনেস নোটিস দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ও ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবা। সরকার-পক্ষও তৈরি। বিরোধীরাও এককাট্টা। সব মিলিয়ে ফের একবার কৃষি আইন নিয়ে সংসদে আজ প্রবল প্রতিবাদ হতে পারে।

কৃষকদের একটাই দাবি তিন কৃষি আইন পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। আর এই দাবিকে সামনে রেখেই আগামী শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে চাক্কা জ্যামের রাস্তায় হাঁটছেন কৃষকেরা। আগামী শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৩ টে অবধি সারা দেশের রাস্তা অবরোধ করতে চলেছেন আন্দোলনরত কৃষকেরা।

নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কিষাণ মোর্চা ৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে চাক্কা জ্যামের কথা ঘোষণা করেছে। শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে অবধি কৃষকেরা রাস্তা আটকাবেন।

লাগাতার কয়েকমাস ধরে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। ক্রমাগত আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়ে চলেছেন কৃষকেরা। কেন্দ্রের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ১১ দফা বৈঠক হয়েছে কৃষক নেতাদের। কোনও বৈঠকেই মেলেনি রফাসূত্র। বরং জেদ আরও তীব্র হয়েছে কৃষকদের।

তিনটি কৃষি আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। তাতে রাজি নন কৃষকরা। আইন তিনটিই বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষক সংগঠনগুলি। এদিকে, কৃষকদের আন্দোলন রুখতে জোরদার তৎপরতা নিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানায় আগেই কৃষকদের আন্দোলন ভণ্ডুল করতে বিদ্যুত্‍, জল ও ইন্টারনেট সংযোগ চ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সিঙ্ঘুতে। এবার কৃষকদের চার ধার থেকে পুরোপুরি ঘিরে ফেলতে তৎপরতা নিল দিল্লি পুলিশ।

রাস্তায় পেরেক ফেলে রেখে কৃষকদের গতিবিধি আটকানোর চেষ্টা হল। দিল্লির সিঙ্ঘু, টিকরী ও গাজিপুর সীমানায় পুলিশের কড়া নজর। এলাকা ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। যে কোনও রকম পরিস্থিতি এবার কড়া হাতে মোকাবিলার চেষ্টায় প্রশাসন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

Caption: ৩৭৭ এর শেকল থেকে মুক্তির পর কোথায় দাঁড়িয়ে LGBTQ আন্দোলন। আলোচনায় বাপ্পাদিত্য মুখোপাধ্যায়।