কত শতাংশ দিল্লিবাসীর শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি, হার্ড ইমিউনিটি নিয়ে সেরো সার্ভেতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

অর্ধেকের বেশি দিল্লিবাসীর শরীরে করোনার (covid-19) অ্যান্টিবডি (antibody) তৈরি হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি দিল্লিতে করা সেরো সার্ভেতে দেখা গিয়েছে সেখানকার অন্তত ৫৬ শতাংশ মানুষের শরীরে রয়েছে করোনার অ্যান্টিবডি। এদিন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন এমনটাই জানিয়েছেন।

তাঁর চেষ্টায় বেহালায় 'স্থান পাওয়া' পার্থ চক্রান্তকারী! নিজের গড়ে প্রথম রোড শো থেকে বিস্ফোরক শোভন

অর্ধেকের বেশি দিল্লিবাসীর শরীরে হার্ড ইমিউনিটি

দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, সেরো সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লিতে ৬২.১৮% মানুষের মধ্যে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তর দিল্লিতে সব থেকে কম ৪৯.০৯% মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এনিয়ে সেখানে পঞ্চমবার সেরো সার্ভে করা হল। তার থেকে বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছেন দিল্লি ক্রমশ হার্ড ইমিউনিটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চম সেরো সার্ভেতে ২৫ হাজারের বেশি স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হয়েছে।

দিল্লিতে প্রথম সেরো সার্ভে করা হয়েছিল ২৭ জুন থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে। দিল্লি সরকারের পাশাপাশি এই কাজে সাহায্য করেছিল ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল। ২১, ৩৮৭ জনের মধ্যে করা সেই সেরো সার্ভেতে দেখা গিয়েছিল ২৩% মানুষের মধ্যএ করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। অগাস্টে তা গিয়ে দাঁড়ায় ২৯.১%-এ। সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে তা ছিল যথাক্রমে ২৫.১% এবং ২৫.৫%।

হার্ড ইমিউনিটি কী

একটি সম্প্রদায় কিংবা একটি গোষ্ঠীতে ভাইরাসের সংক্রমণের পরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ায় অনেকেই অনাক্রম হয়ে পড়েন। রোগ প্রতিরোধ শক্তি তাঁদের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়। সেই সম্প্রদায় কিংবা গোষ্ঠীর মানুষ হার্ড ইমিউনিটির অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েন। এইসব মানুষেরা ভাইরাল সংক্রমণের চেনকে ভেঙে দিতে সাহায্য করেন।

সতর্কতা জারি রাখতে হবে

এই পরিস্থিতিতে তিনি দিল্লিবাসীকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারি গাইডলাইন মেনে অর্থাৎ মাস্ক পরে এবং বারেবারে হাত স্যানিটাইজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দিল্লিতে ১১ টি জেলায় জনসংখ্যা দু কোটির বেশি।

দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

একসময়ে করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুতে মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি চলে এসেছিল দিল্লির নাম। যদিও এখন দিল্লির পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সোমবারের হিসেব অনুযায়ী দিল্লিতে ১২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। সেখানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১২৬৫ জন।

More CORONAVIRUS News