মুম্বই: অহহেলার চূড়ান্ত। মহারাষ্ট্রের ইয়াভাতমাল জেলার একটি গ্রামে ১২ টি বাচ্চাকে পোলিও টিকার জায়গায় দেওয়া হল স্যানিটাইজার! সোমবার এক আধিকারিক এই চূড়ান্ত অবহেলার কথা জানিয়েছেন।
রাজধানী মুম্বই থেকে ৭০০ কিমি দূরের গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। ওরাল পোলিও টিকার জায়গায় দুধের শিশুদের মুখে দেওয়া হয়েছে স্যানিটারজারের মতো রাসায়নিক। যার জেরে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে শিশুদের। চূড়ান্ত গাফিলতির শিকার হওয়া ওই শিশুদের প্রত্যেকের বয়সই ৫ এর নীচে।
জেলা আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই শিশুদের অবস্থা স্থিতিশীল। একই সঙ্গে তিনি জানান, এই মারাত্মক অবহেলার জন্য ৩ স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই গ্রামের একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রবিবার পালস পোলিও টিকা দেওয়ার কর্মসূচিতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের যখন পোলিও’র ডোজ দেওয়া হচ্ছিল, সেসময় এই অপদার্থতার ঘটনা ঘটে।
ইয়াভাতমাল জেলা পরিষদের সিইও শ্রীকৃষ্ণ পঞ্চাল জানিয়েছেন, পাঁচ বছরের কম বয়সী ১২ জন শিশুকে পোলিও ফোঁটার পরিবর্তে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। এরপরেই এক শিশু বমি করতে শুরু করে ও তাঁর শরীরও খারাপ হয়ে পড়ে।বর্তমানে শিশুদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তাঁদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। রাথমিক তথ্য অনুসারে, এই ঘটনার সময় তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী- একজন চিকিৎসক, এক অঙ্গনওয়াড়ি সেবিকা এবং এক আশা স্বেচ্ছাসেবক ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপস্থিত ছিল।
শ্রীকৃষ্ণ পঞ্চাল জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং তিন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশ জারি করা হবে।
এদিকে, অন্য এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গ্রামের সরপঞ্চ যখন ড্রপগুলি পরীক্ষা করছিলেন, তখন তিনি দেখেন সেগুলি পোলিও ডোজ না, বরং হ্যান্ড স্যানিটাইজার । ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই মারাত্মক আশঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকেরা। তাঁরা এই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.