সরকার কৃষকদের উন্নতিতে সচেষ্ট রয়েছে
এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট ভাষণে জানান, আমাদের সরকার কৃষকদের উন্নতিতে সচেষ্ট রয়েছে৷ ন্যূনতম সহায়ক মূল্যেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে৷ যেখানে কৃষিতে উৎপাদনের খরচ বাদ দিয়ে ১.৫ শতাংশ মুনাফা সুনিশ্চিত করা হবে৷ প্রসঙ্গত, তিনি আরও জানিয়েছেন, করোনা মহামারির সময় যখন দেশের শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলেও, কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে ৷ আগামী অর্থবর্ষে কৃষিক্ষেত্রে আয় ১৬.৫ লক্ষ কোটি টাকা করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র সরকার৷
ফসলের দাম হিসেবে কত টাকা মিটিয়েছে কেন্দ্র
বিগত কয়েক বছরে ফসলের মূল্য হিসেবে কেন্দ্র সরকার কৃষকদের কত টাকা দিয়েছে সেই তথ্যও এবারের বাজেটে তুলে ধরেছে কেন্দ্র সরকার৷ সেই মত গম চাষীদের ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে ৩৩,৮৭৪ কোটি টাকা ফসলের মূল্য হিসেবে দিয়েছে কেন্দ্র৷ একইভাবে ২০১৯-২০ সালে ৬২,৮০২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে গম চাষীদের৷ এবং ২০২০-২১ সালে ৭৫,০৬০ কোটি টাকা ফসলের দাম হিসেবে মিটিয়েছে কেন্দ্র সরকার৷
'এই বাজেট কৃষক বিরোধী'
অবশ্য এত কিছুর মাঝেও আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলির দাবি, এই বাজেট কৃষক বিরোধী। এদিকে যে কোনওভাবে কৃষকদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঠেকাতে কোনও কসুর বাকি রাখছে না দিল্লি পুলিশ। বিক্ষোভরত কৃষকদের আটকাতে ব্যারিকেডের সামনে মাটিতে পেরেক পুঁতে রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গাজিপুর ও তিকরি সীমানা।
সংসদে তুমুল হই-হট্টগোল
এদিকে বাজেট অধিবেশনে সংসদের উভয় কক্ষে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বক্তৃতা বয়কট করার পর বাজেট পেশের পরদিনও এই নিয়ে সংসদে ঝড় তুলেছেন বিরোধী দলের সাংসদরা। অন্যান্য বিতর্ক ও আলোচনা সরিয়ে রেখে কৃষি আইনের বিরোধিতায় কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে আলোচনার নোটিস দিয়েছিল বিরোধীরা। তবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু তাতে সম্মতি না-দেওয়ায় তুমুল হই-হট্টগোল শুরু হয়। ওয়াকআউট করে রাজ্যসভা থেকে বেরিয়ে যান বিরোধী দলের সাংসদরা।